তুলা আমদানিতে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ চলতি ২০২৪–২৫ বাণিজ্য বছরে (আগস্ট–জুলাই) তুলা আমদানিতে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে—এমন পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। যদি এটি সত্যি হয়, তবে বাংলাদেশ আবারও বিশ্বে শীর্ষ তুলা আমদানিকারক দেশ হিসেবে আবির্ভূত হবে।
আমদানির পূর্বাভাস
গত সপ্তাহে প্রকাশিত ইউএসডিএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বাণিজ্য বছরের শেষে বাংলাদেশের তুলা আমদানি বেড়ে ৮০ লাখ বেলে দাঁড়াতে পারে। আগের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বাংলাদেশ ৭৮ লাখ বেল তুলা আমদানি করবে। তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ বাড়তে থাকায় দেশে তুলা আমদানির প্রবণতা বেড়েছে। গত ২০২৩–২৪ বাণিজ্য বছরে বাংলাদেশ ৭৫ লাখ ৭৫ হাজার বেল তুলা আমদানি করেছিল।
গ্যাস সংকটের প্রভাব
তবে, বস্ত্রকল মালিকেরা গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন সক্ষমতার ৪০–৫০ শতাংশ ব্যবহার করতে পারছেন না। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে এবং ভারতীয় সুতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় দেশীয় সুতা উৎপাদনকারীরা পিছিয়ে পড়ছে। এর ফলে ভারত থেকে সুতা আমদানি বাড়ছে।
ইউএসডিএর পূর্বাভাসের বিশ্লেষণ

ইউএসডিএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বাণিজ্য বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ৪ কোটি ২৪ লাখ বেল তুলা আমদানি করবে, যার ৬৫ শতাংশই আমদানি করবে চীন, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। তবে চলতি ফেব্রুয়ারির প্রতিবেদনে চীনের তুলা আমদানি সাত লাখ বেল কমতে পারে, যা বাংলাদেশের তুলা আমদানির জন্য একটি সুযোগ সৃষ্টি করবে।
বস্ত্রকল মালিকদের মতামত
বিটিএমএর পরিচালক মোহা. খোরশেদ আলম বলেন, ইউএসডিএর পূর্বাভাস তাত্ত্বিকভাবে ঠিক, তবে বাস্তবতা ভিন্ন। গ্যাস সংকটের কারণে অধিকাংশ কারখানার উৎপাদন সক্ষমতার ৪০–৫০ শতাংশ ব্যবহার হচ্ছে না।
বাংলাদেশের তুলা আমদানির পূর্বাভাস ইতিবাচক হলেও গ্যাস সংকটের কারণে বস্ত্রকলগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে বাস্তবতা ভিন্ন হতে পারে। দেশের বস্ত্র শিল্পের উন্নয়নের জন্য গ্যাস সংকট সমাধান করা জরুরি।