এআই উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে মাইক্রোসফট ও মেটা

মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট এবং মেটা এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। চীনা প্রতিষ্ঠান ডিপসিক তাদের কম খরচে শক্তিশালী এআই মডেল তৈরি করে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।
ডিপসিকের সাফল্য
ডিপসিক দাবি করেছে, তাদের সর্বশেষ মডেল ভিথ্রি পশ্চিমা মডেলগুলোর মতো চ্যাটজিপিটি এবং জেমিনাইয়ের সমান কার্যক্ষমতা প্রদর্শন করছে, এবং কিছু ক্ষেত্রে আরও ভালো ফলাফল দিচ্ছে। নতুন এই মডেলের প্রশিক্ষণে তারা মাত্র ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এআই মডেলগুলো তৈরির জন্য এক থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার খরচ হয় বলে জানিয়েছেন এআই প্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রপিকের সিইও ডারিও আমোদেই।
মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিক্রিয়া
মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, “মূলধন ব্যয় এবং অবকাঠামোতে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ ভবিষ্যতে আমাদের কৌশলগত সুবিধা দেবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, করপোরেট প্রয়োজন মেটাতে বিশাল কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরির বিকল্প নেই।
মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলার মতে, বড় অঙ্কের ব্যয় এআই খাতে প্রতিষ্ঠানের সীমাবদ্ধতা কমাবে। তিনি বিশ্লেষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “এআই আরও দক্ষ ও সহজলভ্য হয়ে উঠলে এর চাহিদাও বহুগুণ বাড়বে।”
বিনিয়োগের পরিমাণ
চলতি অর্থবছরে মাইক্রোসফট এআই খাতে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে, আর মেটা ৬৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই পরিমাণ ডিপসিকের তুলনায় অনেক বেশি।
বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশাল ব্যয়ের পর বড় অঙ্কের লাভ না দেখে কিছু বিনিয়োগকারী মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর আস্থা হারাচ্ছে। ওপেনএআইয়ের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক মাইক্রোসফটের শেয়ারমূল্য বৃহস্পতিবার ৬ শতাংশ কমেছে। তবে একইদিনে মেটার শেয়ারমূল্য বেড়েছে ৪ শতাংশ।
মাইক্রোসফট এবং মেটার মতো শীর্ষ মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এআই খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে। ডিপসিকের সাফল্য তাদের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এআই প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং এর কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য এই বিনিয়োগগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে এআই খাতের উন্নয়ন এবং এর প্রভাব নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা চলতে থাকবে।