প্রযুক্তি

উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীদের জন্য বড় আপডেট: মাইক্রোসফটের সতর্কতা! পিসি ঝুঁকিতে পড়তে পারে

মাইক্রোসফট ঘোষণা দিয়েছে, ২০২৫ সালের ১৪ অক্টোবর থেকে উইন্ডোজ ১০-এ মাইক্রোসফট ৩৬৫ অ্যাপ্লিকেশনগুলোর সমর্থন বন্ধ করে দেওয়া হবে। যারা মাইক্রোসফট ৩৬৫ অ্যাপ্লিকেশনগুলি ব্যবহার চালিয়ে যেতে চান, তাদেরকে উইন্ডোজ ১১-এ আপগ্রেড করতে হবে।

উইন্ডোজ ১০-এর জন্য সমর্থন বন্ধের ঘোষণা

মাইক্রোসফটের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, উইন্ডোজ ১০-এর জন্য মাইক্রোসফট ৩৬৫ অ্যাপ্লিকেশন এবং স্ট্যান্ডঅ্যালোন অফিস সংস্করণগুলো যেমন অফিস ২০২৪, অফিস ২০২১, অফিস ২০১৯, এবং অফিস ২০১৬ আর কোনো আপডেট বা কারিগরি সহায়তা পাবে না। তবে অ্যাপ্লিকেশনগুলো কাজ চালিয়ে যেতে পারবে, যদিও মাইক্রোসফট সতর্ক করেছে যে এই ক্ষেত্রে পারফরম্যান্স এবং নির্ভরযোগ্যতায় সমস্যা হতে পারে।

একটি আলাদা সাপোর্ট ডকুমেন্টে মাইক্রোসফট জানিয়েছে, যেকোনো ধরনের সমস্যা এড়াতে দ্রুত উইন্ডোজ ১১-এ আপগ্রেড করা অত্যন্ত জরুরি।

উইন্ডোজ ১১-এ আপগ্রেডে বাধা কোথায়?

উইন্ডোজ ১১-এ আপগ্রেডের ক্ষেত্রে প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মাইক্রোসফটের কঠোর হার্ডওয়্যার নীতিমালা। এর মধ্যে অন্যতম শর্ত হলো টিপিএম (ট্রাস্টেড প্ল্যাটফর্ম মডিউল) ২.০। মাইক্রোসফটের মতে, এটি সাইবার আক্রমণ এবং ডিভাইস ট্যাম্পারিং থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করে। তবে পুরনো হার্ডওয়্যার ব্যবহারকারীরা এই শর্ত পূরণে সমস্যায় পড়ছেন।

এমন পরিস্থিতিতে, যারা আপগ্রেড করতে পারছেন না বা চান না, তাদের জন্য মাইক্রোসফট কিছু বিকল্প দিয়েছে। হোম ইউজাররা ৩০ ডলার দিয়ে এক বছরের জন্য উইন্ডোজ ১০-এর এক্সটেন্ডেড সিকিউরিটি আপডেট (ESU) কিনতে পারবেন। এছাড়াও, এন্টারপ্রাইজ এবং লং-টার্ম সার্ভিসিং ব্রাঞ্চ (LTSB) এবং লং-টার্ম সার্ভিসিং চ্যানেল (LTSC) সংস্করণগুলো নির্ধারিত সময়ের পরেও আপডেট পাবে।

উইন্ডোজ ১১-এ আপগ্রেডের প্রয়োজনীয়তা

যদিও উইন্ডোজ ১০-এ পিসি এবং অফিস অ্যাপ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব, তবে সিকিউরিটি আপডেট না থাকায় ব্যবহারকারীরা ঝুঁকির মুখে পড়বেন। মাইক্রোসফটের প্রতিনিধি মার্গারেট ফার্মার জানিয়েছেন, উইন্ডোজ ১১-এ আপগ্রেড করতে হলে ডিভাইসের সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট পূরণ হচ্ছে কিনা তা যাচাই করা জরুরি।

সময়মতো আপগ্রেড কেন গুরুত্বপূর্ণ?

বিশ্বজুড়ে এখনো উইন্ডোজ ১০ কোটি কোটি ব্যবহারকারী রয়েছেন। তবে মাইক্রোসফটের এই সিদ্ধান্ত বিশেষ করে মাইক্রোসফট ৩৬৫ এবং অন্যান্য অফিস পণ্যের ব্যবহারকারীদের জন্য দ্রুত উইন্ডোজ ১১-এ যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে। যাদের পিসি মাইক্রোসফটের ন্যূনতম সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট পূরণ করে, তারা এখনো বিনামূল্যে উইন্ডোজ ১১-এ আপগ্রেড করতে পারবেন।

উইন্ডোজ ১০-এর সমর্থন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ম্যালওয়্যার আক্রমণ, ডেটা চুরি এবং অন্যান্য সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে। তাই, যারা অফিস অ্যাপ্লিকেশনগুলোর উপর নির্ভরশীল, তাদের জন্য যত দ্রুত সম্ভব আপগ্রেড করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

উইন্ডোজ ১১-এর সুবিধা

উইন্ডোজ ১১ শুধুমাত্র নতুন নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যই দেয় না, বরং এটি দ্রুত পারফরম্যান্স, উন্নত ইউজার ইন্টারফেস এবং ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি সমর্থন করার মতো অনেক সুবিধা নিয়ে আসে। মাইক্রোসফটের মতে, উইন্ডোজ ১১ একটি আধুনিক, সুরক্ষিত এবং শক্তিশালী অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।

উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীদের জন্য মাইক্রোসফটের এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যৎ সাইবার নিরাপত্তা এবং ডিভাইস পারফরম্যান্সের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। ব্যবহারকারীরা যেন ঝুঁকি এড়িয়ে মসৃণ অভিজ্ঞতা পান, সেজন্য উইন্ডোজ ১১-এ আপগ্রেড করাটা সময়ের দাবী হয়ে উঠেছে।

Latest News Of Signalbd.com

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button