বিশ্বের শীর্ষ ১০ অতিধনীর সম্পদ বেড়েছে ১৩১ বিলিয়ন ডলার একদিনেই

সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই ঘোষণার ফলে বিশ্বের শীর্ষ বিলিয়নিয়ারদের জন্য নতুন এক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। শুল্ক স্থগিতের প্রথম দিন, বুধবার, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বড় বড় শেয়ারবাজারে মূল্যসূচক ঘুরে দাঁড়ায়, যা অতিধনীদের ভাগ্য খুলে দেয়। তাঁদের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর আবার বেড়ে যায়।
বিশ্বখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্যানুসারে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্বের শীর্ষ ১০ অতিধনীর প্রত্যেকেরই সম্পদের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে তাঁদের নিট সম্পদমূল্য বেড়েছে ১৩১.৫ বিলিয়ন বা ১৩ হাজার ১৫৫ কোটি মার্কিন ডলার। সম্পদ বৃদ্ধির দিক থেকে সবার উপরে আছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ সহযোগী ইলন মাস্ক। তাঁর সম্পদের মূল্য বেড়েছে ২৮.৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৮৩০ কোটি ডলার, ফলে তাঁর মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৩৮০.৯ বিলিয়ন বা ৩৮ হাজার ৯০ কোটি ডলার।
দ্বিতীয় স্থানে আছেন বৈশ্বিক ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস। তাঁর সম্পদমূল্য ১৮.৬ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৮৬০ কোটি ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৭.৭ বিলিয়ন বা ২০ হাজার ৭৭০ কোটি ডলার।
শতকোটিপতিদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। তাঁর নিট সম্পদমূল্য বেড়েছে ২৫.৭ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৫৭০ কোটি ডলার, ফলে তাঁর মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ২০২.৬ বিলিয়ন ডলার। চতুর্থ স্থানে থাকা ল্যারি এলিসনের সম্পদমূল্য ১৭.৯ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ১৭৪.৮ বিলিয়নে পৌঁছেছে।
পঞ্চম স্থানে আছেন বিশ্বব্যাপী ‘বিনিয়োগ গুরু’ খ্যাত ওয়ারেন বাফেট। তাঁর সম্পদের মূল্য ৮.১ বিলিয়ন ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬১.৮ বিলিয়ন ডলার।
২ এপ্রিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের প্রায় সব দেশের পণ্য আমদানিতে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সপ্তাহজুড়ে বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে উত্থান-পতন দেখা গেছে। মূলত এই সময় শেয়ারের দাম কমেছে। ৩ এপ্রিল, বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ধনীর সম্পদমূল্য মোট ২০ বিলিয়ন ডলার কমে যায়। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্সের ১৩ বছরের ইতিহাসে এটি ছিল এক দিনে অতিধনীদের সম্পদের চতুর্থ বৃহত্তম পতন। কোভিড-১৯ মহামারির পর এত বড় পতন আর হয়নি। ব্লুমবার্গের সম্পদ সূচক অনুসারে, শতকোটিপতিদের অর্ধেকের বেশিরই এমন পরিণতি হয়েছিল সেদিন। গড়ে তাঁদের সম্পদমূল্য কমেছে ৩.৩ শতাংশ।
শীর্ষ অতিধনীর তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে থাকা বার্নার্ড আর্নল্ট অ্যান্ড ফ্যামিলির সম্পদমূল্য বেড়েছে ১.৬ বিলিয়ন ডলার, ফলে তাঁর মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১৫০.১ বিলিয়ন ডলার।
সপ্তম স্থানে থাকা ল্যারি পেইজের সম্পদমূল্য ৯.০৯ শতাংশ বা ১১.১ বিলিয়ন বেড়ে ১৩২.৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। অষ্টম শতকোটিপতি সের্জেই ব্রিনের সম্পদের মূল্য ৮.৮৬ শতাংশ বা ১০.৪ বিলিয়ন বেড়ে ১২৭.২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
নবম স্থানে থাকা স্টিভ বালমারের সম্পদমূল্য বেড়েছে ৮ বিলিয়ন ডলার বা ৭.৩২ শতাংশ, ফলে তাঁর মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১১৭.৪ বিলিয়ন