আঞ্চলিক

যৌথ বাহিনির চেকপোস্টে ২৫ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ৩

ঢাকার আশুলিয়ায় যৌথ বাহিনির চেকপোস্ট অভিযান থেকে ২৫ কেজি গাঁজাসহ তিনজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির যৌথ চেকপোস্ট অভিযানে বৃহস্পতিবার ভোরে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের বাইপাইল-জিরাবো অংশে এই অভিযান পরিচালিত হয়। আটককৃতরা মাইক্রোবাসে গাঁজা বহন করছিল। পরে তাদের আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আটককৃতদের পরিচয়

আটককৃতরা হলেন—স্থানীয় মাদক সরবরাহকারী নাজমা আক্তার এবং সিলেট থেকে মাদক এনে আশুলিয়ায় সরবরাহকারী রাজন ও ইমান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে যে, রাজন ও ইমান সিলেট থেকে গাঁজা নিয়ে আসত এবং নাজমা আশুলিয়া ও আশেপাশের এলাকায় খুচরা বিক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করতেন। তবে তাদের আরও বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

অভিযান ও যৌথ বাহিনির বক্তব্য

জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, অভিযানের সময় যৌথ চেকপোস্টে সন্দেহভাজন মাইক্রোবাস তল্লাশি করা হয়। গাড়ি তল্লাশিতে ২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা নারীসহ তিনজন এবং তারা সবাই মাদক ব্যবসায় জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।

একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “এই ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চালানো হচ্ছে যাতে রাজধানী ও আশেপাশের এলাকায় মাদক পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করে দ্রুত আদালতে পাঠানো হবে।”

মাদকদ্রব্যের বাজার ও প্রভাব

দেশে মাদক পাচারের সাথে সম্পর্কিত অপরাধের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এই ধরনের বড় জব্দ অভিযান সামাজিক নিরাপত্তা ও জনসাধারণের সচেতনতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা ও আশুলিয়ার মতো এলাকা যেখানে মাদক সরবরাহের চাহিদা বেশি, সেখানে যৌথ বাহিনির অভিযান মাদক চক্রে ভীতি সৃষ্টি করে।

মাদক ব্যবসায়ীরা সাধারণত শহর ও গ্রামের মধ্যে মাদক সরবরাহের জন্য জটিল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। এই ধরনের অভিযান তাদের ব্যবসা ব্যাহত করে এবং এলাকার যুবসমাজকে মাদকমুক্ত রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আগের বছরে আশুলিয়া, টঙ্গী ও আশেপাশের এলাকায় যৌথ বাহিনির অভিযান থেকে প্রায় ৫০ কেজি গাঁজা ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত চেকপোস্ট ও অভিযান মাদক চক্রকে ভেঙে দিতে কার্যকর।

তুলনামূলকভাবে, এই ধরনের জব্দ অভিযান স্থানীয় জনগণের মধ্যে নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।

বিশেষজ্ঞ মতামত

ক্রাইম বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, “মাদক চক্রের ধরপাকড় কঠোর না হলে এ ধরনের অপরাধ কমানো সম্ভব নয়। যৌথ বাহিনির এই ধরনের অভিযান মাদক পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত কার্যকর।”
একজন আইন বিশেষজ্ঞ বলেন, “আটককৃতদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা প্রয়োজন যাতে অন্যরা এ ধরনের অপরাধে লিপ্ত হওয়ার আগে সতর্ক হয়।”

প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া

আশুলিয়া থানার ওসি আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন, “আটককৃতরা বর্তমানে থানায় রয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হবে। আমরা চাই জনসাধারণ মাদক ব্যবহারে যুক্ত না হোক এবং এই ধরনের অপরাধ থেকে দূরে থাকুক।”

সমাপ্তি

জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা ও যৌথ বাহিনির কর্মকর্তাদের মতে, এই ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চালিয়ে মাদক চক্রের কার্যক্রম বন্ধ রাখা সম্ভব। ২৫ কেজি গাঁজাসহ আটককৃতদের গ্রেফতারের মাধ্যমে আশুলিয়া ও আশেপাশের এলাকা থেকে বড় ধরনের মাদক সরবরাহ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে।

এম আর এম – ১১৯৬, Signalbd.com

মন্তব্য করুন
Advertisement

Related Articles

Advertisement
Back to top button