জেলে কীভাবে দিন কাটত, জানালেন সালমান খান

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান খানকে নিয়ে তাঁর অনুরাগীদের কৌতূহলের শেষ নেই। পর্দায় তাঁর ছবি মুক্তি পেলেই প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের ভিড় লেগে যায়। তবে সালমানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও অনেকের আগ্রহ রয়েছে। একাধিক সম্পর্কে জড়ানোর পাশাপাশি তিনি আইনি জটিলতায়ও পড়েছেন। কিন্তু এসব বিষয়ে কখনোই খোলামেলা কথা বলেননি এই তারকা। তবে এবার তিনি নিজের ভাতিজা আরহান খানের পডকাস্ট ‘ডাম্ব বিরিয়ানি’তে কারাবাসের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।
কারাবাসের অভিজ্ঞতা
সালমান খান পডকাস্টে বলেন, “আমি ক্লান্ত। কিন্তু সেটা বললে চলবে না। উঠে পড়তে হবে, যতই ক্লান্ত থাকো।” তিনি জানান, তিনি দিনে দুই ঘণ্টা ঘুমান এবং মাসে একদিন সাত ঘণ্টা ঘুমানোর সুযোগ পান। সালমান বলেন, “মাঝেমধ্যে শুটিংয়ের ফাঁকে পাঁচ-সাত মিনিট বিরতি পেলে চেয়ারে বসে ঘুমিয়ে নিই। কিন্তু কারাবাসের সময় শুধুই ঘুমোতাম। কারণ, ঘুমানো ছাড়া আমার আর কিছু করার ছিল না।”
কাজের প্রতি মনোযোগ
সালমান তাঁর ভাইপোকে পরামর্শ দেন, “কাজের বিষয়ে কখনো অজুহাত দিতে নেই। ঘুমের প্রয়োজন বললে চলবে না।” তিনি বলেন, “এমন পরিশ্রম করো, রাতে ঘুম আসতে বাধ্য হবে।” সালমানের এই বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, তিনি কাজের প্রতি কতটা মনোযোগী।
আইনি জটিলতা
১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং চলাকালীন যোধপুরে কৃষ্ণকায় হরিণের অবৈধ শিকারের অভিযোগ ওঠে সালমানের বিরুদ্ধে। সেই সময় তিনি কিছুদিন জেলে কাটান। ২০০৬ সালের এপ্রিলে এই মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে যোধপুর জেলে পাঠানো হয় তাঁকে। কয়েক দিন পর তিনি জামিনে মুক্তি পান।
২০১৮ সালে, যোধপুরের নগর দায়রা আদালত সেই সম্পর্কিত একটি মামলায় সালমানকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং কারাদণ্ড দেন। পরে হাইকোর্ট জামিনে মুক্তি দেন সালমানকে। জামিন মেলার আগে তিনি কিছুদিন সংশোধনাগারে কাটিয়েছেন। এই মামলা এখনো আদালতে বিচারাধীন। এছাড়া, সালমানের বিরুদ্ধে হিট অ্যান্ড রান মামলাও দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে রয়েছে।
পরিবারের প্রতি ভালোবাসা
সালমান বলেন, “পরিবার বা কাজের বিষয় এলে, কখনো হাল ছাড়ো না। লেগে থেকো। পরিবার ও বন্ধুদের পাশে সব সময়ে থাকবে।” তাঁর এই বক্তব্যে পরিবারের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
সালমান খানের কারাবাসের অভিজ্ঞতা এবং কাজের প্রতি তাঁর মনোযোগ অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে। তিনি যে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করেছেন, তা নতুন প্রজন্মের জন্য একটি শিক্ষা। সালমানের জীবনযাত্রা এবং অভিজ্ঞতা আমাদের শেখায়, যে কোনো পরিস্থিতিতে কিভাবে ধৈর্য ধরে কাজ করতে হয়।