শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কালিয়াকৈরে বিক্ষোভ

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও এক শিক্ষার্থীকে গুলি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার দুপুরে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন।
হামলার ঘটনা
শিক্ষার্থীরা জানান, গত শুক্রবার রাতে গাজীপুরের ধীরাশ্রম দাক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হকের বাসভবনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়। হামলার সময় স্থানীয় মসজিদে মাইকে ঘোষণা করা হয়, “মন্ত্রীর বাড়িতে ডাকাত পড়েছে।” এরপর লোকজন এসে বাড়িটি ঘিরে ফেলে এবং মারধর শুরু করে।
আহত শিক্ষার্থীদের অবস্থা
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থীর ওপর গুলি করে দুর্বৃত্তরা। হামলার পর আহত ব্যক্তিদের গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত সাতজনকে পরে ঢাকায় পাঠানো হয়। আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে রাত তিনটার দিকে হাসপাতালে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম।
শিক্ষার্থীদের দাবি
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, “স্বৈরাচার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।” তারা আরও দাবি করেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন।
পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ জানান, গাজীপুরে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও গুলি করার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
হামলার পরবর্তী পরিস্থিতি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ও আহত শিক্ষার্থীরা জানান, হামলার পর তারা গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চালান, যাতে কোথাও ভাঙচুর হলে তাদের জানানো হয়। হামলার সময় তারা প্রতিহত করতে সেখানে উপস্থিত হন, কিন্তু হামলাকারীরা তাদের ওপর হামলা চালায়।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা এবং এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ একটি গুরুতর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। শিক্ষার্থীরা তাদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষার জন্য সোচ্চার হয়েছেন। এই ঘটনার পর প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধ করা যায় এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।