বিশ্ব

ইসরায়েলের চরমপন্থী আচরণ: আরব মন্ত্রীদের পশ্চিম তীর সফর বাধাগ্রস্ত

২০২৫ সালের ১ জুন, জর্ডানের রাজধানী আম্মানে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ বলেন, “ইসরায়েল আরব মন্ত্রীদের পশ্চিম তীরে প্রবেশে বাধা দিয়ে তাদের চরমপন্থা ও শান্তি প্রত্যাখ্যানের প্রমাণ দিয়েছে।”

আরব মন্ত্রীদের সফর ও ইসরায়েলের বাধা

জর্ডান, মিসর, বাহরাইন, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে রামাল্লায় সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন। তবে, ইসরায়েল এই সফরকে “উসকানিমূলক” বলে অভিহিত করে তাদের প্রবেশে বাধা দেয়।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া

প্রিন্স ফয়সাল বলেন, “এই বাধা প্রমাণ করে যে ইসরায়েল শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে আগ্রহী নয়।” তিনি আরও বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলে ইসরায়েলের এই ঔদ্ধত্যের মোকাবিলায় দ্বিগুণ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাব।”

আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও দুই-রাষ্ট্র সমাধান

ফ্রান্স ও সৌদি আরবের যৌথ সভাপতিত্বে ১৭ থেকে ২০ জুন নিউইয়র্কে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যেখানে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর আবদেলআত্তি বলেন, “গাজায় যুদ্ধবিরতির পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে এ সম্মেলনে আলোচনা হবে।”

সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল স্পষ্টভাবে বলেন, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ সম্ভব নয়।” তিনি আরও বলেন, “এটি শুধু ন্যায়বিচারের প্রশ্ন নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার জন্যও অপরিহার্য।”

ইসরায়েলের অবস্থান ও আন্তর্জাতিক চাপ

ইসরায়েল বর্তমানে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় দেশগুলোর চাপের মুখে পড়েছে, যারা ইসরায়েলের পাশাপাশি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে। তবে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এই চাপকে প্রত্যাখ্যান করে পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে।

ইসরায়েলের চরমপন্থী আচরণ ও আরব মন্ত্রীদের সফরে বাধা দেওয়া মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই পরিস্থিতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে দুই-রাষ্ট্র সমাধানের পথ সুগম করা।

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button