বিপিএল

রেকর্ড গড়ে বিপিএলের ট্রফি আবারও লঞ্চে তুলল বরিশাল

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল অনুষ্ঠিত বিপিএলের ফাইনালে ফরচুন বরিশাল চ্যাম্পিয়ন হয়ে ট্রফি পুনরুদ্ধার করেছে। ৪০ দিনের একাদশ বিপিএলে বিতর্কের মাঝেও দর্শকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ফাইনালের বিকেলে স্টেডিয়ামে মানুষের ভিড় দেখে বোঝা যায়, তাঁরা খেলার জন্য এসেছেন, বিতর্ক দেখতে নয়।

দর্শকদের উন্মাদনা

ফাইনালে দর্শকদের উন্মাদনা ছিল অসাধারণ। গ্যালারিতে বরিশালের জার্সি পরা সমর্থকদের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। ‘বরিশাল, বরিশাল’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছিল পুরো স্টেডিয়াম। এই উৎসবের মধ্যে বরিশাল চ্যাম্পিয়ন হয়ে ট্রফি জয়ের আনন্দে ভাসল।

চিটাগংয়ের শুরু

চিটাগংয়ের শুরুটা ছিল দারুণ। দুই ওপেনার খাজা নাফে ও পারভেজ হোসেন মিলে প্রথম ৫ ওভারে ৫১ রান তুলে ফেলেন। পাওয়ারপ্লে শেষে তাদের স্কোর ছিল ৫৭/০। তখন মনে হচ্ছিল, চিটাগংয়ের ইনিংস ২০০ রান তো পার হবেই। কিন্তু শুরুর আক্রমণাত্মক ব্যাটিংটা ধরে রাখতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে ১৯৪ রান করে বরিশালের সামনে ১৯৫ রানের লক্ষ্য রেখে মাঠ ছাড়ে।

বরিশালের ব্যাটিং

বরিশালের ইনিংস শুরু হয় রিশাদ হোসেনের দারুণ ব্যাটিং দিয়ে। ১১তম ওভারে ১০০ রান হয়ে গেলেও পাওয়ারপ্লের পর চিটাগংয়ের রানের গতি কিছুটা কমে আসে। তবে ১২তম ওভারে রিশাদ হোসেনের প্রথম দুই বলে নাফের দুই ছক্কা দিয়ে আবারও গতি ফিরে আসে।

রিশাদ হোসেনের এই ইনিংসে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান নাফের সঙ্গে ১২.৪ ওভারে বিপিএল ফাইনালে সর্বোচ্চ ১২১ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন। ক্লার্কের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৪০ বলে ৭০ রানের জুটি গড়েন। তিন ছক্কা ও দুই চারে ক্লার্ক ২৩ বলে ৪৪ রান করে ফিরে গেলেও পারভেজ অপরাজিত ছিলেন ৪৯ বলে ৭৮ রান করে।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দ

ফরচুন বরিশাল পরপর দুবার ফাইনালে উঠে ট্রফি জয়ের উৎসবে ভাসল। চিটাগংয়ের বিপক্ষে ৩ উইকেটে জয়লাভ করে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৩ সালে নিজেদের সর্বশেষ বিপিএলে ফাইনাল খেলে হেরেছিল চিটাগং। এবারও তাদের হতাশায় ডুবিয়েছে বরিশাল।

বরিশালের এই জয় কেবল একটি ট্রফি নয়, বরং তাদের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা। বিপিএলের ইতিহাসে এই সাফল্য তাদেরকে আরও শক্তিশালী করবে। আগামীতে তারা আরও ভালো পারফরম্যান্সের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে পারবে।

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button