ফিক্সিংয়ে নাম আসায় ক্ষুব্ধ দুই ক্রিকেটার কোয়াবের সহযোগিতা চাইলেন

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ২০২৫-এর চলতি আসরে ফিক্সিংয়ের অভিযোগে দুই ক্রিকেটার ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। চিটাগং কিংসের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, তিনি ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত নন।
বিপিএলে আলোচনা
এবারের বিপিএলে খেলার চেয়ে ফিক্সিংয়ের বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। আজ দুই ম্যাচের একটি ম্যাচে প্লে-অফের চতুর্থ দল নির্ধারিত হবে, অন্যটিতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থান নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সব আলোচনা চলছে স্পট ফিক্সিং ইস্যু এবং এতে কারা জড়িত, তা নিয়ে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ইতোমধ্যে ১০ জন ক্রিকেটারের নাম এসেছে। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দুর্নীতি দমন বিভাগের সন্দেহভাজনদের তালিকায় এই ক্রিকেটাররা রয়েছেন। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, সংবাদমাধ্যমে নাম আসা অন্তত দুজন ক্রিকেটার কোয়াবের (ক্রিকেটারস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং আইনি সহায়তা নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন।
কোয়াবের প্রতিক্রিয়া
কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল প্রথম আলোকে বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। কয়েকজন ক্রিকেটার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছেন যে তাঁদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে। আমি মনে করি, যদি কোনো ক্রিকেটার সত্যিই এসবে জড়িত থাকেন, তাহলে বিসিবির সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদন্তে নিশ্চয়ই তা বের হয়ে আসবে। কিন্তু কেউ এসবে জড়িত না থাকা সত্ত্বেও যদি তাঁদের নাম বাইরে আসে, সেটি দুঃখজনক। এ ধরনের খবর ওই ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার এবং মর্যাদার জন্যও ক্ষতিকর।”
মিঠুনের বক্তব্য
চিটাগং কিংসের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ফেসবুক পেজে দেওয়া ভিডিও বার্তায় বলেন, “আমি ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত নই। এসব সংবাদে আমাদের সম্মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে।” তিনি জানান, সংবাদমাধ্যমে আসা তালিকায় তাঁর নামও রয়েছে, যা তাঁর জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।
এনামুল হক বিজয়ের বিদেশযাত্রা
এদিকে, আজ সকালে খবর ছড়িয়ে পড়েছিল যে দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের একটি সূত্রও একই কথা জানিয়েছিল। তবে বিসিবির শীর্ষ পর্যায় থেকে জানানো হয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে কাউকে এ ধরনের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এনামুলের বিদেশযাত্রায় কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। কোয়াবের সাধারণ সম্পাদকও একই কথা বলেছেন, “আমি বিষয়টি নিয়ে বিসিবিতে কথা বলেছি। আমার জানামতে, এ রকম কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।”
ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ক্রিকেটারদের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কোয়াবের মাধ্যমে আইনি সহায়তা নেওয়ার চিন্তাভাবনা তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বিসিবির তদন্তে যদি সত্যি কোনো ক্রিকেটার জড়িত না থাকে, তবে তাদের নাম প্রকাশের ফলে যে ক্ষতি হচ্ছে, তা কাটিয়ে উঠা কঠিন হবে। ক্রিকেটের এই অন্ধকার দিকগুলো থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সচেতনতা ও সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।