শান্তের ফিফটিতে ১১২ রানের লিড বাংলাদেশের

বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার সিলেট টেস্টে প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন করেছে বাংলাদেশ। আলোকস্বল্পতার কারণে দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১৯৪ রান, যার ফলে তারা ১১২ রানের লিড পেয়েছে। এই দিনটির সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ফিফটি, যা বাংলাদেশের জন্য অনেকটা আশার সঞ্চার করেছে।
বৃষ্টির বাধায় দেরিতে শুরু
দিনের খেলা বৃষ্টি বিঘ্নিত হওয়ার কারণে প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়। দুপুর ১টায় শুরু হওয়া এই খেলা আগের দিনের ১ উইকেটের ৫৭ রানের স্কোর নিয়ে পুনরায় শুরু হয়। মাহমুদুল হাসান জয় এবং মুমিনুল হক ছিলেন অপরাজিত ব্যাটার। তবে খেলা শুরুর পরেই ছিল চ্যালেঞ্জিং পরিবেশ—বৃষ্টির কারণে উইকেটের অবস্থান কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে এবং এই কারণে ব্যাটারদের জন্য শট খেলতে অনেক সময়েই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছিল।
জয়-মুমিনুলের উদ্বোধন, শান্তর দ্যুতি
দিনের প্রথম ঘণ্টায় বেশ কিছু অঘটন ঘটে যায়। দলীয় ৭৩ রানে জয় (৩৩) আউট হয়ে ফেরেন। এরপর মুমিনুলও কিছুটা সময় ব্যাট চালিয়ে ৪৭ রান করে ফেরেন। এই মুহূর্তে মুশফিকুর রহিম আবার ব্যর্থ হন, যা বাংলাদেশের জন্য খুবই হতাশাজনক ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত নিজের ব্যাটিং দক্ষতা দেখিয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। শান্তর সঙ্গী জাকের আলীও তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের লিড
শান্ত ও জাকেরের সংগ্রহে যোগ হয় ৩৯ রান, যার ফলে বাংলাদেশের মোট রান দাঁড়ায় ১৯৪। এর মাধ্যমে তারা ১১২ রানের লিড নিয়েছে, যা টেস্টের চলমান পরিস্থিতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শান্ত ৬০ রান নিয়ে ব্যাট করছেন এবং জাকের রয়েছেন ২১ রানে।
আগের ইনিংসে বাংলাদেশের পরিস্থিতি
প্রথম ইনিংসে ১৯১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ যখন ৮২ রানে পিছিয়ে ছিল, তখন দ্বিতীয় ইনিংসে এই লিড তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে ২৭৩ রান সংগ্রহ করে এবং বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জে ফেলেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন এটি অনেকাংশে পাল্টে দিয়েছে।
আগামী দিনের জন্য চ্যালেঞ্জ
আগামী দিনে বাংলাদেশের জন্য আরও একটি কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। শান্ত ও জাকের যদি কৌশলে খেলে যেতে পারেন, তবে বাংলাদেশের লিড আরও বাড়ানো সম্ভব হবে। তবে, মুশফিকুর রহিমের ব্যর্থতা এবং জয়-মুমিনুলের দ্রুত আউট হওয়া এখনও বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের কারণ। বাংলাদেশের মিডল অর্ডারকে আরও শক্তিশালী হতে হবে যদি তারা টেস্টে জয় পেতে চায়।