শ্বশুরের কারণে পাকিস্তান দলে সুযোগ? শাদাব খানের স্পষ্ট জবাব

পাকিস্তান ক্রিকেট দলের লেগ স্পিনার ও সহ-অধিনায়ক শাদাব খান সম্প্রতি একটি বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছেন। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, তিনি তার শ্বশুর ও সাবেক প্রধান কোচ সাকলায়েন মুশতাকের প্রভাবের কারণে জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছেন। এই অভিযোগের জবাবে শাদাব স্পষ্টভাবে বলেছেন, তার পারফরম্যান্সই তাকে দলে ফিরিয়েছে, কোনো পারিবারিক সম্পর্ক নয়।
শাদাবের প্রতিক্রিয়া
রাওয়ালপিন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে শাদাব বলেন, “এমন অভিযোগ হতাশাজনক ও কষ্টদায়ক। আমার ক্যারিয়ার সাত বছরের, এবং আমি পাকিস্তানের হয়ে ভালো পারফরম্যান্স করেছি। হ্যাঁ, আমি সাকলায়েন মুশতাকের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি, কারণ তার কোচিং ব্যাকগ্রাউন্ড শক্তিশালী। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তিনি আমাকে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, “শ্বশুরের সঙ্গে কাজ করে আমি নিজের বোলিং আরও ভালো করার চেষ্টা করছি। কারণ, ব্যাটারের চেয়ে বোলার হিসেবে আমি দলের জন্য নিজেকে বেশি উপকারী মনে করি।”
পারিবারিক সম্পর্ক ও বিয়ে
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শাদাব খান বিয়ে করেন সাকলায়েন মুশতাকের মেয়ে মালাইকা সাকলায়েনকে। বিয়ের খবরটি তিনি ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারে শেয়ার করেন। তিনি লেখেন, “আমি আমার মেন্টর সাকি ভাইয়ের পরিবারের সদস্য হতে যাচ্ছি। যখন থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু, পারিবারিক জীবনকে আলাদা রাখতে চেয়েছি। আমার পরিবারও জনসম্মুখ থেকে আলাদা থাকতে চেয়েছে। একই কথা বলেছে আমার স্ত্রী। সে একান্তে জীবন থাকতে চায়।”
বিয়ের পর শাদাবের সতীর্থরা তাকে অভিনন্দন জানান। ইফতিখার আহমেদ টুইটে লেখেন, “এই ব্যক্তিটি আজ থেকে শুধু ভাই নয়, দুলা মিয়া ভাইও হয়ে গেছে। ভাইজানদের ক্লাবে স্বাগত শাদাব। শুভকামনা রইল।”
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ও সমালোচনা
বিয়ের পর কিছু সময় দলের বাইরে থাকলেও, শাদাব সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সহ-অধিনায়ক হিসেবে দলে ফেরেন। তবে সিরিজে তার পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। ৫ ম্যাচে তিনি ১৪৩ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন, ইকোনমি রেট ১১.০০। ব্যাটিংয়ে ৪ ইনিংসে ২৮ রান করেন ১৪.৫০ গড়ে।
সাবেক ক্রিকেটার আহমেদ শেহজাদ বলেন, “শাদাবের বিষয়ে বলুন তো, সে কেমন খেলেছে? কে তাকে দলে এনেছে? এই সিরিজটি আগে শেষ হতে দিন। শাদাবকে নিয়ে পাকিস্তানের অন্য পরিকল্পনা আছে। অন্য উদ্দেশ্যে তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
শাদাব খান তার পারফরম্যান্সের মাধ্যমে জাতীয় দলে স্থান পেয়েছেন বলে জোর দিয়ে বলেছেন। তিনি তার শ্বশুর সাকলায়েন মুশতাকের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক থাকলেও, তা তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে কোনো প্রভাব ফেলেনি। সমালোচনার মুখেও তিনি নিজের দক্ষতা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে দলের জন্য অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।