ক্রিকেট

৪ রানে নেই ৬ উইকেট, ঢাকা লিগে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং–বিপর্যয়

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের একটি ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের জন্য ঘটেছে এক অবিশ্বাস্য বিপর্যয়। ইনিংসের মাত্র ৩ ওভার ৪ বলের মধ্যে ৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে তারা। এই ঘটনা দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যা লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল।

বিপর্যয়ের শুরু

গাজী গ্রুপের ইনিংস শুরু হওয়ার পরপরই এনামুল হক উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে বিপর্যয়ের সূচনা ঘটে। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছিলেন না তিনি, মনে হচ্ছিল বল লাগেনি ব্যাটে। শূন্য রানে এনামুল ফেরার পর শরীফুলের ওই ওভারেই আকবরের হাতে ক্যাচ দেন ৪ বলে ২ রান করা সালমান হোসেন।

দ্বিতীয় ওভারে তানজিম হাসান কোনো উইকেট নিতে পারেননি। তবে তৃতীয় ওভারে শরীফুল ফিরতেই আবার উইকেটের দেখা পায় রূপগঞ্জ। সাদিকুর রহমান রানআউট হন সৌম্য সরকারের সরাসরি থ্রোয়ে। চতুর্থ বলে আমিনুল ইসলাম ও শেষ বলে শেখ পারভেজ জীবনকে বোল্ড করে নিজের চতুর্থ উইকেট পেয়ে যান শরীফুল।

শরীফুলের দুর্দান্ত বোলিং

শরীফুলের বোলিংয়ে গাজী গ্রুপের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে। নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে তানজিম হাসানের বলে বোল্ড হন শামসুর রহমান। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে শামসুর আউট হওয়ার সময় গাজী গ্রুপের রান ছিল মাত্র ৪। এরপর অবশ্য তাদের মান বাঁচান তোফায়েল আহমেদ ও ওয়াসি সিদ্দিকী। সপ্তম উইকেট জুটিতে ৪৭ রান যোগ করেন।

শেষ দিকে ৫০ বলে আব্দুল গাফফার ২৬ রান করলে গাজী গ্রুপের সংগ্রহ ৯৩ রানে গিয়ে দাঁড়ায়। প্রথম ২ ওভারে ৪ উইকেট নেওয়া শরীফুল নিজের পরের ৮ ওভারে কোনো উইকেট পাননি। তাঁর বোলিং বিশ্লেষণ ছিল ১০–৩–১৪–৪, যা ইনিংস শেষে দেখার মতোই ছিল।

লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের জয়

অল্প রান তাড়ায় খুব বেশি সময় নেয়নি লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। ১৩.৫ ওভারেই রূপগঞ্জের দুই ওপেনার খেলা শেষ করেছেন। ৪৬ বলে ৬৫ রানে তানজিদ হাসান ও ৩৮ বলে ২৭ রানে সাইফ হাসান অপরাজিত থেকে দলকে ১০ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন।

এই ম্যাচটি গাজী গ্রুপের জন্য একটি শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে, যেখানে তারা নিজেদের ব্যাটিং লাইনআপের দুর্বলতা এবং চাপের মধ্যে খেলার মানসিকতা নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হবে।

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button