আফগানিস্তানের শক্তিশালী স্কোয়াড ঘোষণা: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর জন্য চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদির নেতৃত্বে দলটি মাঠে নামবে এবারের আসরে চমক দেখানোর লক্ষ্যে। আফগানিস্তান দল ধীরে ধীরে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করছে, এবং এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তারা বড় দলগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
আফগানিস্তানের চূড়ান্ত স্কোয়াড
১. হাশমতউল্লাহ শহীদি (অধিনায়ক)
২. ইব্রাহিম জাদরান
৩. রহমানউল্লাহ গুরবাজ
৪. সেদিকউল্লাহ আতাল
৫. রহমত শাহ
৬. ইকরাম আলীখিল
৭. গুলবদিন নাইব
৮. আজমতউল্লাহ ওমরজাই
৯. মোহাম্মদ নবী
১০. রশিদ খান
১১. নানগায়াল খারোতি
১২. নুর আহমেদ
১৩. ফজলহক ফারুকি
১৪. ফরিদ মালিক
১৫. নাভিদ জাদরান
আফগানিস্তানের শক্তি ও সম্ভাবনা
আফগানিস্তানের দলে অভিজ্ঞ ও তরুণদের দারুণ সমন্বয় রয়েছে। ব্যাটিং অর্ডারে রয়েছেন হাশমতউল্লাহ শহীদি, ইব্রাহিম জাদরান, রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও রহমত শাহ। তারা একসঙ্গে দলের জন্য বড় সংগ্রহ গড়তে পারেন। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ইকরাম আলীখিলও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
দলের অলরাউন্ডারদের মধ্যে গুলবদিন নাইব, মোহাম্মদ নবী ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই ব্যাটিং এবং বোলিং উভয় বিভাগেই দলের জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
বোলিং শক্তি ও স্পিনারদের প্রভাব
আফগানিস্তানের প্রধান শক্তি তাদের স্পিন আক্রমণ। বিশ্বসেরা লেগ স্পিনার রশিদ খানের নেতৃত্বে আফগানিস্তানের স্পিন বিভাগে আরও রয়েছেন নুর আহমেদ ও নানগায়াল খারোতি। এই তিনজন মিলিতভাবে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের জন্য বড় হুমকি হতে পারেন।
পেস বিভাগেও আফগানিস্তান যথেষ্ট শক্তিশালী। ফজলহক ফারুকি, ফরিদ মালিক ও নাভিদ জাদরান নতুন বলে দলকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেন এবং ডেথ ওভারে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন।
আফগানিস্তানের ম্যাচ সূচি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫
- ২১ ফেব্রুয়ারি: আফগানিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা (করাচি)
- ২৬ ফেব্রুয়ারি: আফগানিস্তান বনাম ইংল্যান্ড (লাহোর)
- ২৮ ফেব্রুয়ারি: আফগানিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়া (লাহোর)
আফগানিস্তানের শিরোপার দৌড়ে সম্ভাবনা
আফগানিস্তান সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব ক্রিকেটে বড় দলগুলোর বিপক্ষে চমক দেখিয়েছে। তাদের স্পিন আক্রমণ বিশ্বমানের এবং অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারদের উপস্থিতি দলকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে।
এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তান বড় দলগুলোর জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবীর মতো খেলোয়াড়রা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন। সঠিক পরিকল্পনা ও ধারাবাহিক পারফরম্যান্স থাকলে আফগানিস্তান সেমিফাইনাল পর্যন্তও যেতে পারে।
তবে ব্যাটিং লাইনআপের ওপর বড় দায়িত্ব থাকবে, কারণ বিশ্বমানের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফরম্যান্স দেখানোই হবে তাদের মূল চ্যালেঞ্জ।
আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তান কি তাদের সাম্প্রতিক ফর্ম ধরে রাখতে পারবে? সেটাই এখন দেখার বিষয়।