চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোয়াড ঘোষণা

আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর জন্য চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড। টুর্নামেন্টে দলকে নেতৃত্ব দেবেন টেম্বা বাভুমা। তার অধিনায়কত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা এমন এক স্কোয়াড গঠন করেছে, যা ব্যাটিং, বোলিং ও অলরাউন্ডারদের দিক থেকে বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে বড় কোনো আইসিসি ট্রফি জিততে না পারা দক্ষিণ আফ্রিকা এবার শিরোপার অন্যতম দাবিদার হিসেবে মাঠে নামবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার চূড়ান্ত স্কোয়াড
১. টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক)
২. টনি ডি জর্জি
৩. মার্কো ইয়ানসেন
৪. হাইনরিখ ক্লাসেন
৫. কেশব মহারাজ
৬. এইডেন মার্করাম
৭. ডেভিড মিলার
৮. উইয়ান মুল্ডার
৯. লুঙ্গি এনগিডি
১০. কাগিসো রাবাদা
১১. রায়ান রিকেলটন
১২. তাব্রেইজ শামসি
১৩. ট্রিস্টান স্টাবস
১৪. রেসি ফন ডার ডুসেন
১৫. করবিন বশ
দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তি ও দুর্বলতা
দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তির প্রধান দিক তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। ওপেনিংয়ে টেম্বা বাভুমা ও টনি ডি জর্জি দলকে শক্ত ভিত দিতে পারেন। মিডল অর্ডারে হাইনরিখ ক্লাসেন, এইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলার ও রেসি ফন ডার ডুসেনের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রয়েছেন, যারা বড় ম্যাচে দলকে জয়ের পথে নিতে পারেন।
অলরাউন্ডার মার্কো ইয়ানসেন ও উইয়ান মুল্ডার দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। তারা ব্যাটিং ও বোলিং উভয় বিভাগেই পার্থক্য গড়ে দিতে সক্ষম।
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণ
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং লাইনআপও বেশ শক্তিশালী। তাদের দলে রয়েছেন কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি ও করবিন বশের মতো গতিময় পেসাররা, যারা প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপকে চাপে ফেলতে পারেন। স্পিন আক্রমণের দায়িত্বে থাকবেন কেশব মহারাজ ও তাব্রেইজ শামসি, যারা মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট তুলে নেওয়ার পাশাপাশি রান চেপে ধরতে সক্ষম।
দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ সূচি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫
- ২১ ফেব্রুয়ারি: দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম আফগানিস্তান (করাচি)
- ২৫ ফেব্রুয়ারি: দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়া (রাওয়ালপিন্ডি)
- ১ মার্চ: দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ইংল্যান্ড (করাচি)
শিরোপার দৌড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা
দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম শক্তিশালী দল হলেও আইসিসির কোনো বড় ট্রফি তাদের ঘরে নেই। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তারা সেই আক্ষেপ মেটানোর জন্য লড়াই করবে। ব্যাটিং ও বোলিং উভয় বিভাগেই দলটি শক্তিশালী, তবে বড় ম্যাচে চাপ সামলানোর সক্ষমতাই নির্ধারণ করবে তারা কতদূর যেতে পারবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা কি এবার শিরোপার খরা কাটাতে পারবে? সেটাই এখন দেখার বিষয়।