কর্ণফুলীতে এক যুবককে অপহরণ, ৫ ঘণ্টা পর মুক্তিপণ ছাড়াই মুক্তি

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় অপহরণের পাঁচ ঘণ্টা পর মুক্তিপণ ছাড়াই মুক্তি পেয়েছেন শহীদুল আলম (৩২)। গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অপহরণের ঘটনা
শহীদুল আলম ইছানগরের বাসিন্দা এবং মাছের ব্যবসায়ী। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি জানান, এলাকায় তাঁর ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিপক্ষের লোকজন এমন করতে পারে বলে তাঁর ধারণা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত ১১টার দিকে শহীদুল বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তিনটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ১২ থেকে ১৫ জন লোক থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাঁকে সিএনজিতে তুলে নেয়। পরে তাঁকে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যাওয়া হয়।
মুক্তির প্রক্রিয়া
শহীদুলের পরিবারের লোকজন কর্ণফুলী থানা-পুলিশকে বিষয়টি জানান। দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শহীদুলকে নগরীর কোতোয়ালি থানা এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। মুক্তি পাওয়ার পর শহীদুল গণমাধ্যমকে জানান, অটোরিকশায় থাকা লোকজন নিজেদের মহানগর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেয়।
তিনি বলেন, “তারা আমার ফেসবুক আইডি চেক করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধী কোনো পোস্ট করেছি কি না, যাচাই করে। ফেসবুক আইডিতে তেমন কিছু না পেয়ে তারা প্রথমে পাঁচ লাখ টাকা ও পরে তিন লাখ টাকা দাবি করে। টাকার জন্য আমি তাদের বিকাশ নম্বর দিতে বলি এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাই। এ সময় তারা টাকা না নিয়ে আমাকে একটি রিকশায় তুলে দেয়।”
পুলিশি তৎপরতা
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, “ঘটনার পর কোতোয়ালি থানা ও কর্ণফুলী থানার যৌথ তৎপরতায় শহীদুলকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে অপরাধী চক্র। অপরাধীদের শনাক্তের কাজ চলমান।”
এই ঘটনা চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। অপহরণের মতো ঘটনা প্রতিরোধে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়ে গেছে।