ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের হারিকেন এলাকায় চলন্ত বাসে হঠাৎ আগুন লেগে প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গেলেও যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি।
গাজীপুরে ঢাকাগামী একটি চলন্ত বাসে হঠাৎ আগুন লেগে সেটির প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কের হারিকেন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে যাত্রীদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে।
ঘটনার বিস্তারিত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসটি দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় হঠাৎ ইঞ্জিনের অংশে আগুন ধরে যায়। বাসের ভেতরে থাকা ৮–১০ জন যাত্রী দ্রুত নেমে নিরাপদে চলে যান। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ২০ মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বাসের চালক ও হেলপারকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।
গাজীপুর চৌরাস্তা মর্ডান ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ইকবাল হাসান জানিয়েছেন, খবর পাওয়ার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আগুন লাগার সম্ভাব্য কারণ
গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বাসটিতে আগুন লেগেছে। বাসটি গাজীপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলন্ত যানবাহনে ইঞ্জিন বা বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে হঠাৎ আগুন লাগা স্বাভাবিকভাবে দেখা যায়। বিশেষ করে পুরনো বাস বা রক্ষণাবেক্ষণ কম হওয়া যানবাহনে এই ধরনের ঝুঁকি বেশি থাকে।
প্রতক্ষ্যদর্শীদের বর্ণনা
প্রত্যক্ষদর্শী বাবুল হোসেন বলেন, “আমিসহ প্রায় ১০-১২ জন লোক বাসটির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। যাত্রীরা দ্রুত বাস থেকে নেমে নিরাপদে চলে যেতে সক্ষম হন।”
এ ধরনের ঘটনায় সাধারণত যাত্রীদের দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত হস্তক্ষেপ গুরুতর দুর্ঘটনা এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আগুন নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাসে আগুন লেগে যাওয়ার খবর পেয়ে তারা দুটি ইউনিট পাঠান। ২০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। যদিও বাসের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে, তবে যাত্রীদের ক্ষতি হয়নি।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে চলন্ত যানবাহনে নিয়মিত তত্ত্বাবধান ও আগুন নেভানোর ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রভাব ও বিশ্লেষণ
এই দুর্ঘটনা দেশের যাত্রী পরিবহণ খাতের নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণের গুরুত্বের দিকে পুনরায় মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাসগুলোর ইঞ্জিন ও বৈদ্যুতিক সিস্টেম নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে এমন ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
এছাড়া, যাত্রীদের দ্রুত নিরাপদে সরিয়ে আনা ও ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত হস্তক্ষেপ দুর্ঘটনাটি বড় কোনো ক্ষতি ছাড়াই মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
গাজীপুরে চলন্ত বাসে আগুন লাগার ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং ফায়ার সার্ভিসের সক্রিয় হস্তক্ষেপ দুর্ঘটনাটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। তবে এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে এড়াতে বাসের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা অত্যন্ত জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চলন্ত যানবাহনে আগুন লাগা প্রতিরোধের জন্য শক্তিশালী প্রটোকল এবং যাত্রীদের সচেতনতা অপরিহার্য।
এম আর এম – ২২৫১,Signalbd.com



