
চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার দুই নম্বর গেট এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা ও পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইনজামামুল হক ওরফে জসিমকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১২ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরের একটি রেস্তোরাঁয় অবস্থানকালে তাঁকে শনাক্ত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা। এরপর পাঁচলাইশ থানা-পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে ইনজামামুলকে আটক করে।
হামলা ও গুলির মামলা
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ আগস্ট পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা ও গুলি চালানোর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি ইনজামামুল হক।
পাঁচলাইশ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, “শিক্ষার্থীদের তথ্যের ভিত্তিতে ইনজামামুল হককে আটক করে থানায় আনা হয়। পরে তাঁকে পটিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
‘আন্দোলনের শত্রুদের ছাড় নেই’ — শিক্ষার্থীরা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মুখ্য সংগঠক তওসিফ ইমরোজ প্রথম আলোকে বলেন, “গত বছর পটিয়ায় আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় জড়িত ইনজামামুল হক এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। তাঁকে দেখে আমরা পুলিশে খবর দিই। দেরি না করে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।”
আদালতে পাঠানো হয়েছে
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, “ইনজামামুল হকের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার ও হামলার অভিযোগ রয়েছে। তাঁকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
২০২৪ সালের আগস্টে চট্টগ্রামের পটিয়ায় স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি কর্মসূচিতে হামলা ও গুলি চালানো হয়। ওই ঘটনার পর রাজনৈতিক প্রভাবশালী কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে মামলা করা হয়, যার অন্যতম ছিলেন ইনজামামুল হক।
ঘটনার প্রায় এক বছর পর শনিবার রাতে শিক্ষার্থীদের তৎপরতায় তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হলো।