আঞ্চলিক

দোকান কর্মচারী হত্যামামলায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন অভিনেতা সিদ্দিক

রাজধানীর গুলশানের ফার্নিচার দোকান কর্মচারী হত্যাকাণ্ডের মামলায় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তদন্তকারী পুলিশ এ তথ্য যাচাই করছে।

ঘটনার বিস্তারিত

রাজধানীর গুলশান থানার শাহজাদপুর এলাকায় ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী পারভেজ বেপারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের বাবা মো. সবুজ গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান একজন অভিযুক্ত হিসেবে নাম উল্লেখ রয়েছে।

গত ৩ সেপ্টেম্বর আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অভিনেতা সিদ্দিকের জন্য। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদকালে তিনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। গুলশান থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সামিউল ইসলাম জানান, এই তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।

রিমান্ড ও কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া

রিমান্ড শেষে (১৪ সেপ্টেম্বর) সিদ্দিককে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করা হয়। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে তাকে জেল হাজতে রাখার আদেশ দেন।

পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোক্তার হোসেন জানান, “আসামি সিদ্দিককে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের প্রয়োজন হতে পারে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখা একান্ত প্রয়োজন।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় (১৯ জুলাই) রাজধানীর গুলশান থানার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে বন্ধুদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার পর পারভেজ বেপারীকে গুলি করা হয়। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, নিহত পারভেজ বেপারী তখন ২৩ বছর বয়সী ছিলেন। হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত একাধিক আসামির নাম এজাহারে উল্লেখ আছে।

প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া

এই হত্যাকাণ্ড ও মামলার তদন্ত দেশের সাধারণ মানুষ ও চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য নজরকাড়া ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অভিনেতা সিদ্দিকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়ার কারণে মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত হয়েছে।

পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা চাইছেন ন্যায়বিচার দ্রুত সম্পন্ন হোক। এছাড়া, সাধারণ জনগণও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের ওপর নজর রাখছে।

আইনগত প্রক্রিয়া ও পরবর্তী ধাপ

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার পর তদন্তকারী পুলিশ পুনরায় সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। আইনজীবীরা বলছেন, এই প্রক্রিয়া মামলার সঠিক চিত্র উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সকল আসামিকে কারাগারে রাখা হয় যাতে মামলার প্রমাণ সংরক্ষিত থাকে এবং কোন প্রকার প্রভাব পড়া না যায়।

বিশেষজ্ঞ মতামত

আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, “যেহেতু মামলায় একজন প্রখ্যাত অভিনেতার নাম রয়েছে, তাই তদন্তের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। পুলিশকে অবশ্যই প্রমাণের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।”

সামাজিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ঘটনার সঠিক তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচারের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পাবে।

রাজধানীর ফার্নিচার দোকান কর্মচারী হত্যাকাণ্ডের মামলায় অভিনেতা সিদ্দিকের দেওয়া তথ্য মামলার তদন্তকে নতুন দিক দিয়েছে। পরবর্তী সময়ে তদন্তের প্রক্রিয়া এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তদন্তকারীরা বলছেন, “এখনই সঠিক তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে মামলার চূড়ান্ত রূপ দেয়া সম্ভব হবে।”

এম আর এম – ১৩৫৭,Signalbd.com

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button