আঞ্চলিক

শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে এলে হারবে স্বাধীনতাবিরোধীরা: মেঘমল্লার

ডাকসু নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রতিরোধ পর্ষদের জিএস প্রার্থী মেঘমল্লার বসু শিক্ষার্থীদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা ভোট দিলে স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী কোনো অবস্থাতেই জিতে থাকতে পারবে না।

মেঘমল্লার বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী যদি ভোট দিতে আসে, তাহলে সব হিসাব মাটিতে মিশে যাবে। আপনারা যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন। তবে প্লিজ ভোট দিতে আসুন।”

নির্বাচনের প্রেক্ষাপট

ডাকসু নির্বাচন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সমাজের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মঞ্চ। প্রতিটি ভোট শিক্ষার্থীদের শক্তি ও মত প্রকাশের সুযোগ দেয়। মেঘমল্লার উল্লেখ করেন, কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠী প্রভাব বিস্তার করতে চায়, তবে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণই প্রকৃত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে নিশ্চিত করবে।

তিনি জানান, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা জেলায়-থানায় বিভিন্নভাবে ভোট প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণই শেষ পর্যন্ত নির্ধারণ করবে নির্বাচনের ফলাফল।

মেঘমল্লারের মন্তব্য

মেঘমল্লার বলেন, “নির্বাচন কমিশনারদের কিছুই করা সম্ভব হবে না। যা করার সাধারণ শিক্ষার্থীদের হাতে। ভোট দিলে স্বাধীনতাবিরোধীরা কোনো পদের জন্যও জয়ী হতে পারবে না।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা ইতিমধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্র সমাজে আমাদের উপস্থিতি প্রমাণ করেছি। ভোটের ফলাফল যাই হোক না কেন, প্রতিরোধ পর্ষদ জিতেছে। তবে ভোটে সক্রিয় অংশগ্রহণ সব রাজনৈতিক হিসাবকে নতুনভাবে রূপ দেবে।”

পূর্বের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা

আগের ডাকসু নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের ভোটাভুটির হার তুলনামূলকভাবে কম ছিল। তবে এ বার মেঘমল্লার মনে করেন, শিক্ষার্থীরা সক্রিয় অংশগ্রহণ করলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, অতীতে কিছু রাজনৈতিক সহিংসতা এবং সংঘর্ষ হলেও এ বার শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ ও সচেতনভাবে ভোট দিতে পারলে সমাজে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছাবে।

ভোটের প্রভাব ও গুরুত্ব

মেঘমল্লার বলেছেন, শিক্ষার্থীদের ভোটই শিক্ষার্থী সমাজের রাজনৈতিক অবস্থান নির্ধারণ করবে। এতে স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী কোনো পদে জয়ী হতে পারবে না। তার মতে, শিক্ষার্থীরা যদি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন, তবে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার এবং প্ররোচনার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।

তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ শুধুমাত্র নির্বাচনের ফলাফলের জন্য নয়, বরং ছাত্র সমাজে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

স্বাস্থ্যগত ও প্রচারণা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ

মেঘমল্লার সম্প্রতি অস্ত্রোপচারের কারণে কিছুদিন মাঠে উপস্থিত ছিলেন না। তবে তার সহযোদ্ধারা প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, স্বাস্থ্যগত সীমাবদ্ধতা থাকলেও ভোটে অংশগ্রহণে কোনো বাধা সৃষ্টি হবে না।

তিনি বলেন, “আমার অংশগ্রহণ সীমিত থাকলেও সহযোদ্ধারা মাঠে কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। তাই শিক্ষার্থীরা ভোটের মাধ্যমে তাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সক্ষম হবে।”

বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণ

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ডাকসু ভোটের ফলাফল শিক্ষার্থী সমাজে রাজনৈতিক শক্তির সাময়িক অবস্থান প্রমাণ করবে। মেঘমল্লারের আহ্বান মূলত শিক্ষার্থীদের সচেতন ও সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে।

একাধিক শিক্ষাবিদ ও বিশ্লেষক বলেছেন, “শিক্ষার্থীরা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে অংশগ্রহণ করলে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে দৃঢ় করা সম্ভব হবে এবং ছাত্র সমাজের প্রকৃত চিত্র প্রকাশ পাবে।”

শেষ কথা 

মেঘমল্লারের আহ্বান স্পষ্ট: শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া ডাকসু নির্বাচনে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। আজকের ভোট শিক্ষার্থী সমাজের রাজনৈতিক শক্তি প্রমাণের এক বিশেষ সুযোগ।

শিক্ষার্থীরা যদি সচেতনভাবে ভোট দেন, তবে স্বাধীনতাবিরোধীরা কোনো পদে জয়ী হতে পারবে না। এ নির্বাচন শুধু ফলাফলের জন্য নয়, বরং ছাত্র সমাজে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

এম আর এম – ১২২৬,Signalbd.com

মন্তব্য করুন
Advertisement

Related Articles

Advertisement
Back to top button