আঞ্চলিক

দৌলতদিয়ায় ১৯ কেজির পাঙাশ ৩০ হাজারে বিক্রি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে—১২ জুন ২০২৫—পদ্মা নদীর মোহনায় জেলে কামাল শেখের জালে প্রায় ১৯ কেজি ওজনের বিশাল পাঙাশ ধরা পড়ে। স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা ১,৫৫০ টাকা কেজিতে কিনে প্রায় ২৯,৫০০ টাকায় ঢাকার একজন ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন। মাছটি ঢাকায় দুপুরে বিলি হয়।

বিস্তারিত সংবাদ

কোথায় ও কখন ধরা পড়ল?

আজ, বৃহস্পতিবার (১২ জুন ২০২৫) সকাল সাড়ে ৬টায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে কয়েকশ’ মিটার দূরে ‘বাহির চর’, ‘কলার বাগান’ অঞ্চলে জেলে কামাল শেখ জাল ফেলেন। কিছুক্ষণ পরে তাঁর জালে ধরা পড়ে প্রায় ১৯‑কেজি ওজনের বড় আকৃতির পাঙাশ মাছ। পাঙাশ নামে পরিচিত এই পদ্মার ‘দৌলতদিয়া স্পেশাল’ মাছ, স্থানীয়দের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

মাছ বিক্রির প্রক্রিয়া

কামাল শেখ দ্রুত মাছটি দৌলতদিয়া ঘাট বাজারের কেছমত মোল্লা আড়তে নিয়ে যান। সেখানে মাছ নিলাম বসে। নিলামের প্রধান প্রার্থী হন:

  • চান্দু মোল্লা, দৌলতদিয়ার দেড় নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী,
  • আরিফা মাছভান্ডার এর মালিক, যার তরফ থেকে দাম প্রস্তাব আসে ১,৫৫০ টাকা/কেজি বা মোট ≈ ২৯,৫০০ টাকা।
    এই প্রস্তাবে কম বিক্রি না করে কামাল বিক্রিতে রাজি হন।

কেনা ও বিক্রির প্রতিবেদন

চান্দু মোল্লা বলেন, “আমি সকালে প্রথম প্রস্তাব দেই। পরবর্তীতে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ফোনে কথা বলি। তিনি প্রতি কেজিতে ১,৬০০–১,৬৫০ টাকা চান।”
তবে শেষ পর্যন্ত ১,৬০০ টাকিতে কিনে তিনি ঢাকায় বিক্রির ব্যবস্থা করেন। ঢাকায় প্রাপ্ত দাম ছিল প্রতি কেজি ১,৬৫০ টাকা করে মোট ≈ ৩০,০০০ টাকা।

লাভ ও স্থানান্তর প্রক্রিয়া

চান্দু মোল্লা মাছটি দুপুরে ড্রাইভারকে দিয়ে দীর্ঘ দূরপাল্লার বাস বা ট্যাংকলরী যানবাহনে ঢাকায় পাঠান।
এই লেনদেনে জ্যেষ্ঠ মৎস্য ব্যবসায়ীর হিসেবে তাঁরা দিনের ৫০ টাকার লাক্কুমার্জিন অর্জন করেন, যা দ্বিতীয় হাত বিক্রেতার আই-টেল দূরদর্শিতা ও ঝুঁকি মেটাতে যথেষ্ট।
ঢাকায় পৌঁছে বাজারে মঙ্গা কম থাকায় চাহিদা বেশি থাকায় দাম ওঠে।

প্রাসঙ্গিক পরিপ্রেক্ষিত

দৌলতদিয়ার মাছ বাজার:

দৌলতদিয়া ফেরিঘাট বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় মাছ বাজার হিসেবে পরিচিত। প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার মৎস্য বিভিন্ন আকারে বিক্রি হয়। কখনো কখনো একক বৃহৎ মাছের নিলামে বিক্রি হয় কোটি টাকার, যেমন: চলচ্চিত্রের মতো বড় নীলতর বা রুই। এক ইউটিউব ভিডিওতে দেখা যায়, দৌলতদিয়া আড়তে ঘণ্টায় বিক্রি হয় প্রায় ১৫–২০ লক্ষ টাকার মাছ ।

পাঙাশ: মাছের কালো স্বর্ণ

পাঙাশ নামক এই মাছ (Pangasius pangasius) দক্ষিণ এশিয়ার বড় নদীগুলোতে পাওয়া যায়। এটির গড় ওজন কখনো কখনো ২০–৩০ কেজি পর্যন্ত পৌঁছায়। সাদা রঙ, ম্ল্যাঙ্কাভ বান্ড এবং কোমল মাংসের জন্য এটি সুখ্যাত। বিশেষ করে শ Sec’s পর্যায়ে দাম বেশি। দোরের মতো বড় পাঙাশ ধরা পড়লে জেলেদের ভাগ্য উন্নত হয়।

বাজার চাহিদা ও সরবরাহ চক্র

ঢাকাসহ বড় শহরে এই ধরনের দুর্লভ বা বড় মাছ চাহিদা বেশি। বড় মাছের ক্ষেত্রে রেস্টুরেন্ট, হোটেল, বিশ্বসেরা রেস্টুরেন্ট চেইন—সবাই পছন্দ করে। একক মাছের বড় কেটে টুকরো করে বিক্রি হয়।
জেলার বিভিন্ন বাজার—মাদারিপার্ক, কারওলবাজার—এগুলোতে লাভের মার্জিন থাকে ১০–২০%, যা জেলেদের জন্য বড় সহায়তা।

জেলেদের আয়ের সুযোগ

একক মাছ বিক্রি করে ৩–৪ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ পাওয়াটা সাধারণ। এটি স্থানীয় অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে। এছাড়া বরাদ্দ করে সরকার বিভিন্ন সময় ট্রলি, হুক, জাল ও বাড়তি সহায়তা দেয়। যা তাঁদের ব্যবসা সম্প্রসারণে সহায়তা করে।

বিশ্লেষণ ও প্রতিক্রিয়া

জেলেদের জন্য সুসংবাদ

আজকের এই ঘটনা—১৯ কেজি পাঙাশ মাছের কারণে—কিছুটা দোলাচলে পরিণত হলো। এটি স্থানীয় সাংবাদিকের নজরে এলে আরও লাভজনক করে তোলে।
“আমি জীবনে এত বড় মাছ ধরিনি,” বলেন, জেলে কামাল শেখ। তাঁর ভাষায়, “এটি একটি জীবনের সুযোগ।”।

ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লার কৌশল

তিনি বলেন, “ঢাকায় সরাসরি বাজার মিললে দাম ভিন্ন।”
তারা মাছের গুণগত মান বজায় রাখতে দ্রুত সরবরাহ করে। এতে মাছের আবণনের কোনো সমস্যা হয় না। এটি ব্যবসায় ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।

পুঙ্খানুপুঙ্খ সরবরাহ চেইন

জেলেদের কাছ থেকে মাছ সংগ্রহ → স্থানীয় আড়তে বিক্রি → গাড়ি/বাস/ট্যাংকলরীতে ঢাকায় পাঠানো → ঢাকায় পাইকারী → খুচরা/রেস্টুরেন্ট/HORECA চেইনে সরবরাহ।
এই চেইনটি অনেক সময় ২৪ ঘণ্টারও কমে সম্পন্ন হয়, মাছের গুণগত মান অটুট থাকে।

পরবর্তী বছরগুলোর সম্ভাবনা

  • বিপণন উন্নয়ন: স্থানীয় পর্যায়ে ছোট ব্যবসায়ীরা হাই-টেক ফ্রোজেন ডিস্ট্রিবিউশন শুরু করতে পারেন।
  • ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম: “ফ্রেশফিস BD”–র মতো অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি গ্রাহকের কাছে মাছ বিক্রি।
  • জলবায়ু ও দখল: পদ্মা ও মেঘনা নদীর সময়ের পানিবৃষ্টির কারণে মাছের সম্ভাব্য প্রাপ্যতা ও ওজনের উপর প্রভাব খেয়াল রাখতে হবে

দৌলতদিয়ার এই একক পাঙাশ মাছ’ই শুধু জেলেদের ভাগ্য বদল করলো না, বন্ধ ব্যবসায়ী চেইন ও স্থানীয় অর্থনীতিকে একটি বড় ইনজেকশন দিল।
এটা প্রমাণ করে: সঠিক সময়ে সঠিক বাজারে পৌঁছে গেলে, ছোট ছোট উদ্যোগই আখ্যা হতে পারে δυνατό দিয়ে বড় রাজস্ব আনে—ফলে গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য এই সময়টিই সময়।

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button