
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে দেখতে গেছেন সদ্য নির্বাচিত ভিপি সাদিক কায়েম। তার সঙ্গে ছিলেন ডাকসুর নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ ও সংগঠনের অন্য সদস্যরা। তারা নুরের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন এবং তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
ঘটনা বিস্তারিত
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নুরুল হক নুরকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পৌঁছান ভিপি সাদিক কায়েম। তার সঙ্গে ছিলেন ডাকসুর নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন নেতা। নুরের কেবিনে গিয়ে তারা চিকিৎসকদের কাছ থেকে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। নুরের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে পরিবারকেও সান্ত্বনা জানান তারা।
গণ-অধিকার পরিষদের দফতর সমন্বয়ক শাকিল উজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, “নবনির্বাচিত ভিপি সাদিক কায়েমসহ নেতারা নুরের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। তারা নুরের শারীরিক অবস্থার ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছেন এবং তাকে মানসিকভাবে সাহস জুগিয়েছেন।”
নুরের আঘাত ও বর্তমান অবস্থা
গত ২৯ আগস্ট রাজধানীর বিজয়নগরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটায় গুরুতর আহত হন নুরুল হক নুর। সেদিনই তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার মাথা ও শরীরের কয়েকটি অংশে আঘাত লেগেছে, এবং এখন তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাকে।
ভিপি সাদিক কায়েমের সদ্য জয়
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে জয়ী হন সাদিক কায়েম। নির্বাচনের পর এটি তার অন্যতম আলোচিত কার্যক্রম, যেখানে তিনি তার পূর্বসূরি নুরুল হক নুরের খোঁজ নিতে হাসপাতালে ছুটে যান। অনেকেই এ ঘটনাকে ইতিবাচক রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে দেখছেন।
রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া
ভিপি সাদিক কায়েমের এ উদ্যোগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও একে অপরের খোঁজ নেওয়া গণতান্ত্রিক চর্চাকে আরও শক্তিশালী করবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তরুণ নেতৃত্ব যদি পারস্পরিক সৌহার্দ্য বজায় রেখে এগিয়ে যায়, তবে তা দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।
ছাত্ররাজনীতিতে নুরের ভূমিকা
নুরুল হক নুর ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হিসেবে নির্বাচিত হন। তখন থেকেই তিনি ছাত্র ও তরুণদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা গণ-অধিকার পরিষদ তরুণ সমাজের একটি বড় অংশকে সংগঠিত করেছে। ফলে নুরের অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়লে তার অনুসারীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, ভিপি সাদিক কায়েমের এই সৌজন্য সাক্ষাৎ ভবিষ্যতে ছাত্ররাজনীতিতে সহনশীলতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। একই সঙ্গে নুরের নেতৃত্ব ও অভিজ্ঞতা বর্তমান তরুণ রাজনীতির জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
শেষ কথা
ঢাকা মেডিকেলে নুরকে দেখতে গিয়ে নবনির্বাচিত ভিপি সাদিক কায়েম শুধু একজন নেতার খোঁজ নেননি, বরং ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সংস্কৃতির দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন। তরুণ প্রজন্মের এই সৌহার্দ্যপূর্ণ পদক্ষেপ বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
এম আর এম – ১২৯২,Signalbd.com