জাতীয়

প্রতিবেদন জমা দিলো জনপ্রশাসন ও বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশন

জনপ্রশাসন ও বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে দুই সংস্কার কমিশনের প্রধানরা তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেন।

কমিশনের গঠন ও উদ্দেশ্য

গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করার পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতের সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনগুলো সরকারের বিভিন্ন খাতের কার্যক্রমকে আরও কার্যকর ও স্বচ্ছ করতে কাজ করছে।

বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন

বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে কমিশনের রিপোর্ট হস্তান্তর করেন। এর আগে, গত ১৫ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ এবং সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের রিপোর্ট জমা দেয়।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন

আজ জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীসহ কমিশনের সদস্যরা জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনটি সরকারের কাছে হস্তান্তর করেন। এই প্রতিবেদনে প্রশাসনিক সংস্কারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে।

উপসচিব পদোন্নতির বিষয়

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গত ১৭ ডিসেম্বর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় জানিয়েছিল, উপসচিব পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্যাডারের ৫০ শতাংশ সুযোগ পাবে। বর্তমানে এই হার ৭৫:২৫। কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতির হার আরও কমবে।

কর্মকর্তাদের প্রতিক্রিয়া

কমিশনের এই মনোভাব জানার পর থেকে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান জানান দেন। এই বিষয়টি দেশব্যাপী আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের আন্দোলন

অন্যদিকে, ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা কলম বিরতি, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। তাদের দাবি, উপসচিব পদে শতভাগ পরীক্ষার মাধ্যমে সব ক্যাডার থেকে সমান পদোন্নতি দিতে হবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে মোট ২৬ ক্যাডার রয়েছে।

জনপ্রশাসন ও বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার মাধ্যমে সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের একটি নতুন অধ্যায় শুরু হলো। এই সংস্কারগুলো দেশের প্রশাসনিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে এবং জনগণের সেবার মান উন্নত করবে। তবে, কর্মকর্তাদের মধ্যে যে উদ্বেগ ও অসন্তোষ রয়েছে, তা সমাধানের জন্য সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। আশা করা হচ্ছে, এই সংস্কার কার্যক্রম দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button