
গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যদিও নতুন করে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি, তবুও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। চলতি বছরে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের।
সর্বশেষ করোনা আপডেট
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১৪ জুলাই সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৯৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। ফলে দেশের মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২০ লাখ ৫২ হাজার ২২৮ জনে।
বর্তমানে শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১০ শতাংশ। এর আগে ১৩ জুলাই কোনও শনাক্ত না হলেও একজনের মৃত্যু হয়েছিল। তবে আজকের দিনে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
করোনার ইতিহাস: কোথা থেকে কোথায়
করোনা ভাইরাস প্রথম বাংলাদেশে শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। সে সময় প্রথম ধাপে ৩ জন আক্রান্ত হন এবং ওই মাসের ১৮ তারিখ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত মোট ২৯ হাজার ৫২৬ জন মারা গেছেন।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬৮৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংখ্যাটি কম হলেও এটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।
চিকিৎসা ব্যবস্থা ও প্রস্তুতি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং সরকারি হাসপাতালগুলো এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি প্রস্তুত। যদিও বর্তমানে সংক্রমণ কম, তবুও হঠাৎ করে সংক্রমণ বেড়ে গেলে হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যা, অক্সিজেন এবং আইসিইউ সুবিধা আছে কিনা, তা নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।
একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন:
“করোনার গতি কখনও বলা যায় না, তাই প্রয়োজন আগেভাগেই প্রস্তুতি।”
কী বলছে পরিসংখ্যান
দেশে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস শনাক্তের জন্য মোট ১ কোটি ৫৭ লাখ ৩৫ হাজার ৩৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে মোট শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৫২ হাজার ২২৮ জন।
সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ, যা অনেকটা আশার আলো জাগায়। অন্যদিকে মোট মৃত্যুর হার স্থির আছে ১ দশমিক ৪ শতাংশের নিচে।
বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা
জনস্বাস্থ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনা এখন আর আগের মতো ভয়ংকর নয়—তবুও একে হালকাভাবে নেওয়া উচিত হবে না। যারা বয়স্ক, শ্বাসকষ্টে ভোগেন, বা যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
বিশেষত: যাত্রীবাহী যানবাহনে, হাসপাতাল বা বাজারের মতো ভিড়পূর্ণ জায়গায় মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
“করোনার প্রকোপ কমেছে ঠিকই, কিন্তু এটি সম্পূর্ণ বিদায় নেয়নি—তাই ব্যক্তিগত সচেতনতা এখনো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
—একজন জনস্বাস্থ্য বিশ্লেষক
সারসংক্ষেপ
দেশে আবারও করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যদিও এসময়ে মৃত্যুর কোনো খবর পাওয়া যায়নি, তবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন—এটি উপেক্ষার সময় নয়।
সাম্প্রতিক এই ৮ জন আক্রান্তের ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দিল—করোনা এখনও বিদ্যমান। যদিও মৃতের সংখ্যা বাড়েনি, তবে প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং ব্যক্তিগত সচেতনতা বজায় রাখা এখনো জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনে যদি বৃষ্টি বা সিজনাল ফ্লু বেড়ে যায়, তবে করোনা আবারও সক্রিয় হতে পারে। তাই প্রশ্ন থেকেই যায়—আমরা কি নতুন করে প্রস্তুত?
এম আর এম – ০৩৪৬, Signalbd.com