৮ মাসে রফতানি আয় বেড়েছে ১০.৫৩ শতাংশ

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম ৮ মাসে রফতানি আয় আসেছে ৩,২৯৪ কোটি ২৬ লাখ ডলার, জা গত অর্থবর্ষের এই সময়ের তুলনায় ১০.৫৩ শতাংশ বেশি।
রফতানি উন্নয়ন বিউরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন
এই তথ্য প্রকাশ করে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রফতানি উন্নয়ন বিউরোর হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ত্রিশিল তোথ্য
চলতি অর্থবর্ষের জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে দেশের রফতানি আয় বেড়েছে। গত অর্থবর্ষের এই সময়ে রফতানি আয় ছিলো ঢা ২,৯৮০ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
তৈরি পোশাক খাত
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের জুলাই-ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ত্রিশিল পোশাক রফতানি আয় ১০.৬৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,৬৭৯ কোটি ৬৪ লাখ ডলার।
হোম টেক্সটাইল ও চামড়া উপপদান
ইপিবির তথ্যানুজায়ী, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ৮ মাসে অন্যান্য রফতানি খাতের মধ্যে কৃষি পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য আর হোম টেক্সটাইলের রফতানি বেড়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রফতানি আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৭৯ কোটি ৬৪ লাখ ডলারে। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে এ আয় ছিল ২ হাজার ৪২১ কোটি ৯৩ লাখ ডলার।
তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের মধ্যে ১ হাজার ৪৩৪ কোটি ৪ লাখ ডলার এসেছে নিটওয়্যার রফতানি থেকে, যা বছর ব্যবধানে ১১ দশমিক ০১ শতাংশ বেড়েছে। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে এ আয় ছিল ১ হাজার ২৯১ কোটি ৭৯ লাখ ডলার।
এ ছাড়া ১ হাজার ২৪৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার এসেছে ওভেন পোশাক রফতানি থেকে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে এ আয় ছিল ১ হাজার ১৩০ কোটি ১৪ লাখ ডলার।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে কৃষি পণ্য চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ও হোম টেক্সটাইলের রফতানি বেড়েছে। হোম টেক্সটাইলের রফতানি আয় ৫ দশমিক ২৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ডলারে।
আর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি বেড়েছে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ। জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে রফতানি হয়েছে ৭৫ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। এছাড়া কৃষি পণ্যের রফতানি আয় ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ কোটি ২৪ লাখ ডলারে।
সদ্যবিদায়ী ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে পণ্য রফতানি থেকে আয় এসেছে ৩৯৭ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার। বছর ব্যবধানে যা বেড়েছে ২ দশমিক ৭৭ শতাংশ।