১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে সামিট পাওয়ার, বেড়েছে মুনাফা

সামিট পাওয়ার ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১৩ এপ্রিল ডিজিটাল মাধ্যমে কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে।
মুনাফার বৃদ্ধি
গত অর্থবছরে সামিট পাওয়ারের মুনাফা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ৩০ জুন তারিখে শেষ হওয়া বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৩ দশমিক ১৩ টাকা হয়েছে, যা আগের বছরে ছিল ২ টাকা ৭ পয়সা। অর্থাৎ, এক বছরে কোম্পানির মুনাফা ৫১ শতাংশ বেড়েছে।
পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শেয়ারপ্রতি আয় বৃদ্ধির কারণ
শেয়ারপ্রতি আয় বৃদ্ধির পেছনে কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরে কোম্পানির ভারী তেল ক্রয়ের ব্যয় হ্রাস পেয়েছে। ২০২৩ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া বছরে ডলারের বিনিময়ে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল। তবে, টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল হওয়ায় ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরে বিনিময় হারের প্রভাব অনেকটা কমে এসেছে।
নিট সম্পদ মূল্য ও নগদ অর্থপ্রবাহ
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৪১ টাকা ৪৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৮ টাকা ০২ পয়সা। এ ছাড়া শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ ছিল ৬ টাকা ১৩ পয়সা, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৭ টাকা ০৪ পয়সা।
শেয়ারের দাম
গত এক বছরে সামিট পাওয়ারের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ২৮ টাকা ৬০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৪ টাকা ৫০ পয়সা। সামিট পাওয়ার ২০২৩ সালে ১০ শতাংশ, ২০২২ সালে ২০ শতাংশ, ২০২১ সালে ৩৫ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে কোম্পানিটি ৬ শতাংশ ও ২০১৪ সালে ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।
সামিট পাওয়ারের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা এবং মুনাফার বৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত। কোম্পানির আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং লভ্যাংশের ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে সহায়ক হবে।