আইএমএফের ঋণ পেতে দেরি, জুনে একসঙ্গে মিলতে পারে দুই কিস্তি

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তির অর্থ মার্চে পাওয়া যাবে না। অর্থ, বাণিজ্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, জুনে দুই কিস্তির (চতুর্থ ও পঞ্চম) অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব একসঙ্গে উঠবে।
আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির পটভূমি
২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ আইএমএফের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি শুরু করে। এর পর থেকে বাংলাদেশ তিনটি কিস্তির অর্থ পেয়েছে। প্রথম কিস্তিতে ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং তৃতীয় কিস্তিতে ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে। মোট তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ আইএমএফের কাছ থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে।
জুনে যৌথ প্রস্তাব
সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, চলতি মাসের ৫ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে চতুর্থ কিস্তির প্রস্তাব উঠার কথা ছিল, কিন্তু তা পিছিয়ে ১২ মার্চ করা হয়েছিল। এখন আবারও পিছিয়ে জুনে দুই কিস্তির প্রস্তাব একসঙ্গে উঠবে। তিনি বলেন, “আমরা বলেছি যে আমাদের কিছু কাজ আছে। তাই আমরা অত তাড়া করছি না।”
অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “বর্তমানে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতি ভালো অবস্থানে রয়েছে। চলতি হিসাব, আর্থিক হিসাব ও প্রবাসী আয় ইতিবাচক।” তিনি আরও বলেন, “আমরা মরিয়া হয়ে উঠছি না। আমাদের কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে, তবে আমরা আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা করে এগিয়ে যাব।”
আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা
এক প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “মার্চে আইএমএফ পর্ষদে প্রস্তাব উঠছে না। আমরা বলেছি যে একটু অপেক্ষা করব।” তিনি জানান, আইএমএফও এই সময়সীমা বাড়ানোর জন্য সম্মত হয়েছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আইএমএফের ঋণ কর্মসূচি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যদিও মার্চে অর্থ পাওয়ার আশা নেই, জুনে দুই কিস্তির যৌথ প্রস্তাবের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও উন্নত হতে পারে। সরকারের এই উদ্যোগ দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।