সিটি ব্যাংকের প্রয়াত উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার: নতুন দিগন্তের সূচনা

সিটি ব্যাংকের প্রয়াত উদ্যোক্তা পরিচালক মো. আলী হোসেনের শেয়ার স্থানান্তর করা হয়েছে তাঁর মনোনীতদের নামে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ঘোষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
শেয়ার স্থানান্তরের বিস্তারিত
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, আলী হোসেনের মনোনীতক সাকিবা শবনম ও ফারিয়া শবনমের নামে মোট ২ কোটি ৫৮ লাখ ৪৮ হাজার ৫৬৬টি শেয়ার স্থানান্তর করা হয়েছে। সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড এই শেয়ার স্থানান্তরের তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মো. আলী হোসেন ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর ২ ফেব্রুয়ারি শেয়ার স্থানান্তরের বিজ্ঞপ্তি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। আজ রোববার স্থানান্তর সম্পন্ন হওয়ার পর নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
সিটি ব্যাংকের আর্থিক অবস্থান
সিটি ব্যাংক দেশের ব্যাংক খাতের মধ্যে একটি শক্তিশালী আর্থিক অবস্থান ধরে রেখেছে। সম্প্রতি, ব্যাংকটি মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী ও ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে ৮০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে সিটি ব্যাংকের সমন্বিত পরিচালন মুনাফা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পরিচালনা মুনাফা বেড়েছে ৭৭ শতাংশ। ২০২৩ সালের প্রথম ৯ মাসে সিটি ব্যাংক মুনাফা করেছিল ৯৩২ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকায়।
মুনাফার বৃদ্ধি ও প্রভিশন
সিটি ব্যাংকের কর-পরবর্তী মুনাফা বেড়েছে ১৯ শতাংশ। ২০২৩ সালে প্রথম ৯ মাসে মুনাফা ছিল ৩৭৯ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫১ কোটি টাকায়। ব্যাংকটি সতর্কতার সঙ্গে ঋণের বিপরীতে বেশি প্রভিশন সংরক্ষণ করেছে, যা তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করেছে।
শেয়ারের দাম ও লভ্যাংশ
গত এক বছরে সিটি ব্যাংকের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ২৬ টাকা ৭০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৭ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটি ২০২৩ সালে ১৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ২০২২ সালে ১০ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ বোনাস, ২০২১ সালে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস, এবং ২০২০ সালে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ প্রদান করেছে।
সিটি ব্যাংকের প্রয়াত উদ্যোক্তা পরিচালক মো. আলী হোসেনের শেয়ার স্থানান্তর ব্যাংকটির জন্য একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থান এবং পরিচালন মুনাফার বৃদ্ধি তাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের সম্ভাবনা বাড়িয়েছে। সিটি ব্যাংক এখন নতুন নেতৃত্বের অধীনে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করার জন্য প্রস্তুত।