দেড় মাস পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনরায় ২০.১৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার ফলে রোববার (২২ ডিসেম্বর) এই মাইলফলক অর্জিত হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।
রিজার্ভ পরিস্থিতি
৬ নভেম্বর রিজার্ভের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন ডলার থাকলেও ধীরে ধীরে তা কমে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়। তবে সাম্প্রতিক রেমিট্যান্স প্রবাহের প্রবৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনার কিছু পরিবর্তনের ফলে রিজার্ভ আবার ২০ বিলিয়নের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, আইএমএফের বিপিএম-৬ মানদণ্ডে রিজার্ভের পরিমাণ ২০.১৭ বিলিয়ন ডলার। তবে বিপিএম-৫ অনুযায়ী, রিজার্ভের পরিমাণ আরও বেশি, ২৪.৯৯ বিলিয়ন ডলার।
রেমিট্যান্স ও আমদানি প্রবৃদ্ধি
চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত:
- রেমিট্যান্স বৃদ্ধি: ৩০%
- রপ্তানি বৃদ্ধি: ৮%
- আমদানি প্রবৃদ্ধি: ১% (গত অর্থবছরের ঋণাত্মক ১০% থেকে ইতিবাচক)
রেমিট্যান্স প্রবাহ বেশি থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বেড়েছে, যা নতুন এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খোলার সীমাবদ্ধতা শিথিল করতে সহায়তা করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ডলারের মূল্য ১২০ টাকায় স্থিতিশীল রাখা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ করায় রিজার্ভে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আমদানি চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ডলারের দাম ১২৭.৭০ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে।