বিশ্ব

গাজায় বিক্ষোভ: হামাস তুমি চলে যাও

Advertisement

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর এই প্রথম হামাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে গাজার ক্ষমতা থেকে হামাসের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।

বিক্ষোভের ঘটনা

মাস্ক পরা হামাস যোদ্ধারা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে দেখা যায়। অনেক বিক্ষোভকারীর ওপর হামলা চালানো হয়, এবং হামাস যোদ্ধাদের কারও হাতে অস্ত্র এবং কারও হাতে লাঠি ছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, গাজার উত্তরাঞ্চলীয় বিত লাহিয়ায় তরুণ বিক্ষোভকারীরা হামাসের সমালোচনা করে নানা স্লোগান দিচ্ছেন, যেমন “চলে যাও, হামাস চলে যাও।”

হামাসের প্রতিক্রিয়া

হামাসপন্থী গ্রুপ এই বিক্ষোভকে গুরুত্ব দিচ্ছে না এবং অভিযোগ করছে যে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা ‘বিশ্বাসঘাতক’। হামাসের পক্ষ থেকে বিক্ষোভের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ইসরায়েলি হামলা ও বিক্ষোভের কারণ

ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র যোদ্ধারা ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানোর এক দিন পর এই বিক্ষোভ হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী বিত লাহিয়া ছেড়ে যেতে সেখানকার বাসিন্দাদের নির্দেশ দিয়েছে, যা ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

দুই মাস অস্ত্রবিরতির পর সম্প্রতি ইসরায়েল গাজায় নৃশংস হামলা শুরু করেছে। হামাস অভিযোগ করেছে যে, যুদ্ধবিরতির সময় যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রস্তাব তারা প্রত্যাখ্যান করায় এই হামলা শুরু হয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য

বিত লাহিয়ার বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মোহাম্মদ দিয়াব বলেন, ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় তাঁর পুরো বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি বলেন, “আমরা কারও জন্য মরতে চাই না। হামাসকে অবশ্যই ক্ষমতা ছাড়তে হবে এবং দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের কথা শুনতে হবে।”

হামাসের শাসন

২০০৭ সাল থেকে গাজায় হামাস এককভাবে শাসন করে আসছে। ওই বছর নির্বাচনে ফাতাহকে হারিয়ে তারা গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে সমালোচনা বাড়তে থাকলেও, এখনও তাদের পক্ষে প্রচুর সমর্থন রয়েছে। তবে জনসমর্থন কতটা কমেছে, সেটা নিখুঁতভাবে জানার সুযোগ নেই।

গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ ইসরায়েলের নৃশংস হামলার প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি গাজার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং হামাসের শাসনের বিরুদ্ধে জনমতকে উজ্জীবিত করেছে।

মন্তব্য করুন
Advertisement

Related Articles

Back to top button