ঢাকার খোলাবাজারে রুপির চাহিদা নেই, কমেছে দাম
ঢাকার খোলাবাজারে ভারতীয় রুপির চাহিদা তলানিতে পৌঁছেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে টাকার বিপরীতে রুপির মান কমেছে ৪-৫ পয়সা। ডলার বিক্রি স্বাভাবিক থাকলেও এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো রুপির কোনো ক্রেতা পাচ্ছে না।
মতিঝিল, পল্টন ও বাইতুল মোকাররম এলাকায় ডলার ও রুপি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৪ টাকা ৫০ পয়সায়, যা এক সপ্তাহ আগের তুলনায় প্রায় এক টাকা বেশি। অন্যদিকে রুপির দাম নেমে এসেছে ১.৪০ থেকে ১.৪৪ টাকায়, যেখানে এক সপ্তাহ আগে ছিল ১.৪৮ থেকে ১.৫০ টাকা।
মেডিকেল ভিসা বন্ধের প্রভাব
ডলার বিক্রেতা নাদির হোসেন জানান, “ভারতীয় সরকার বাংলাদেশিদের মেডিকেল ভিসা বন্ধ করার পর রুপির বিক্রি অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে।” আগে যেখানে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৬ লাখ টাকার রুপি বিক্রি হতো, গত এক সপ্তাহে তা নেমে এসেছে ৫০ হাজার টাকার নিচে।
তিনি আরও বলেন, “সাধারণত বাংলাদেশিরা মেডিকেল এবং ভ্রমণের খরচ মেটাতে রুপি নিয়ে যান। কিন্তু দুই দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে এই চাহিদা অনেকটাই কমে গেছে।”
রুপির বিক্রিতে বড় ধস
ডলার বিক্রেতা রিপন বলেন, “আগে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকার রুপি বিক্রি হতো। আজকে এক রুপিও বিক্রি হয়নি।” তিনি উল্লেখ করেন, দুই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং মেডিকেল ভিসা বন্ধের কারণে এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা স্বাভাবিক থাকলেও রুপির চাহিদা একেবারেই নেই। এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো বলছে, বিলাসী পণ্য ও ভ্রমণ খাতে রুপির ব্যবহার কমে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
দুই দেশের সম্পর্কের প্রভাব
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দুই দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং সীমান্ত জটিলতার কারণে রুপির লেনদেনে বড় ধস নেমেছে। এই পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে খোলাবাজারে রুপির দাম আরও কমতে পারে।