শিক্ষা

প্রাথমিক শিক্ষকদের নিজ উপজেলায় বদলিতে আবেদন শুরু: বিস্তারিত তথ্য

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য নিজ উপজেলায় বদলির জন্য অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া এই আবেদন প্রক্রিয়া চলবে আগামী বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে এবং সব প্রধান শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিঠি পাঠানো হয়েছে।

আবেদন প্রক্রিয়া

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষককে শূন্য পদ না থাকায় নিজ উপজেলার বাইরের উপজেলায় পদায়ন করা হয়েছে, তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আন্ত–উপজেলা বদলির সুযোগ দেওয়া হবে। ২০২৩ সালের সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকার ৩.৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই বদলি কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

আবেদন করার সময়সীমা:

  • আবেদন শুরু: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • আবেদন শেষ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • আবেদন যাচাই: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • যাচাই শেষ: ১ মার্চ ২০২৫

আবেদনকারীদের জন্য শর্তাবলী

শিক্ষকদের জন্য কিছু শর্তাবলী নির্ধারণ করা হয়েছে, যা অনুসরণ করতে হবে:

ক. পছন্দের বিদ্যালয়:
শিক্ষকেরা সর্বোচ্চ ৩টি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করবেন। তবে, যদি কোনো শিক্ষকের একাধিক পছন্দ না থাকে, তাহলে তিনি এক বা দুটি বিদ্যালয় পছন্দ করতে পারবেন। আবেদনের পর বদলির আদেশ জারি হলে তা বাতিল করার জন্য পরবর্তী সময়ে কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।

খ. যাচাই প্রক্রিয়া:
যাচাইকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৩ সালের ২০ অক্টোবর জারি করা সর্বশেষ “সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা (সংশোধিত) ২০২৩” অনুযায়ী আবেদনকারীর আবেদন ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করবেন।

গ. তথ্য যাচাই:
যাচাইকারী কর্মকর্তা সতর্কতার সঙ্গে সংযুক্ত তথ্য ও কাগজপত্র যাচাই করবেন। যাচাইপূর্বক প্রেরণ–পরবর্তী তা পুনর্বিবেচনা করার আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আবেদনকারীর পছন্দক্রম অনুযায়ী বদলি হওয়ার নিশ্চয়তা নেই। একাধিক আবেদনকারীর ক্ষেত্রে যোগ্য আবেদনকারীকে সফটওয়্যারের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনায় নির্বাচিত করা হয়, ফলে কোনো রকম হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।

প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য এই বদলি প্রক্রিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। শিক্ষকরা তাদের পছন্দের উপজেলায় বদলি হতে চাইলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন করতে ভুলবেন না। সরকারের এই উদ্যোগ শিক্ষকদের কর্মজীবনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে সহায়ক হবে।

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button