আইনজীবী তালিকাভুক্তির এমসিকিউ পরীক্ষা ২৫ এপ্রিল

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক আয়োজিত আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) বহুল প্রতীক্ষিত এমসিকিউ পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৫ এপ্রিল, শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই এক ঘণ্টার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বার কাউন্সিলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশে আইন পেশায় যুক্ত হতে আগ্রহী হাজার হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর জন্য এই পরীক্ষাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ প্রস্তুতির পর অবশেষে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণায় তারা দারুণ উৎসাহিত ও প্রস্তুতিমূলক কাজে আরও মনোযোগী হয়ে উঠেছেন।
পরীক্ষার সময়সূচি ও কাঠামো
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এমসিকিউ (Multiple Choice Questions) পদ্ধতিতে নেওয়া এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৫ এপ্রিল, শুক্রবার। পরীক্ষার সময় বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত, অর্থাৎ এক ঘণ্টা। এই এক ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত সংখ্যক এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
প্রশ্নপত্রের কাঠামো পূর্ববর্তী বছরগুলোর মতোই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যেখানে সাধারণত সংবিধান, সিভিল প্রসিডিউর কোড (CPC), ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড (CrPC), এভিডেন্স অ্যাক্ট, বার কাউন্সিল অর্ডিন্যান্সসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক আইন বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে।
প্রবেশপত্র ও সিট প্ল্যান
পরীক্ষার রোল নম্বরভিত্তিক সিট প্ল্যান ও অনলাইনে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের নির্দেশনা যথাসময়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। পরীক্ষার্থীদের সেগুলো নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বার কাউন্সিল জানিয়েছে, পরীক্ষার কেন্দ্র, প্রবেশপত্র ডাউনলোড, সিট প্ল্যানসহ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় তথ্যসমূহ শুধুমাত্র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেই প্রকাশ করা হবে। এতে করে গুজব কিংবা বিভ্রান্তিকর তথ্য থেকে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের দূরে থাকতে বলা হয়েছে।
পরীক্ষা স্থগিত বা সময় পরিবর্তনের এখতিয়ার
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো অনিবার্য পরিস্থিতির উদ্ভব হলে এনরোলমেন্ট কমিটি পরীক্ষার ঘোষিত তারিখ, সময় বা শিডিউল পরিবর্তনের সম্পূর্ণ এখতিয়ার রাখে। সেক্ষেত্রে সংশোধিত সময়সূচি যথাসময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীদের এজন্য সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
এনরোলমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত এবং এতে কোনো প্রকার আপত্তির সুযোগ নেই বলেও জানানো হয়েছে। তাই পরীক্ষার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি সম্পন্ন করা ও নিয়মিতভাবে বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণের বিকল্প নেই।