অর্থনীতি

সাড়ে সাত মাসে রিটার্ন দিল মাত্র ১৩ হাজার কোম্পানি

দেশের কোম্পানিগুলো রিটার্নে বার্ষিক আয়-ব্যয়ের খবর জানিয়ে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা করপোরেট কর দিয়েছে। আর রিটার্ন দিয়েছে ১৩ হাজার ৬৬টি কোম্পানি। গত ১ জুলাই থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাবের ভিত্তিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ তথ্য তৈরি করেছে।

নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান ও রিটার্ন জমা

বর্তমানে দেশে আড়াই লাখের বেশি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন আছে। প্রতিবছর গড়ে ৩৫-৪০ হাজার কোম্পানি রিটার্ন জমা দেয়। আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত কোম্পানি করদাতাদের রিটার্ন জমার সময় আছে। সাধারণত ১ জুলাই থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানি করদাতাদের রিটার্ন জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময়সীমা। এ বছর দুই দফায় এই সময় বাড়ানো হয়েছে।

টিআইএন ও রিটার্ন দাখিলের প্রবণতা

যেসব প্রতিষ্ঠানের ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) আছে, তার মধ্যে বেশিরভাগই বার্ষিক আয় বিবরণী বা রিটার্ন দাখিল করে না। ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়সীমা থাকলেও কোম্পানির ক্ষেত্রে তা উল্লেখ নেই। কোম্পানি তার বার্ষিক মুনাফার ওপর প্রযোজ্য হারে কর পরিশোধ করে।

পূর্ববর্তী প্রতিবেদন ও বর্তমান পরিস্থিতি

২০২১ সালে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) এক প্রতিবেদনে বলেছে, ওই সময়ে প্রায় ৮০ হাজার কোম্পানি রিটার্ন দিত না। সিআইসির ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিপুলসংখ্যক কোম্পানি টিআইএন নেয়, কিন্তু রিটার্ন দেওয়া খুব একটা বাড়েনি।

ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের অবস্থা

ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের ক্ষেত্রে এ বছর সব মিলিয়ে ৩৯ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫৭ জন করদাতা রিটার্ন দিয়েছেন। এনবিআর কর পেয়েছে মাত্র ৩ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা। গত রোববার এই সময়সীমা শেষ হয়।

দেশের কোম্পানিগুলোর রিটার্ন জমা দেওয়ার এই নিম্ন হার দেশের অর্থনীতির জন্য উদ্বেগজনক। এনবিআরের জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জ, কারণ কর সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এটি প্রভাব ফেলতে পারে। সরকারের উচিত কোম্পানিগুলোর মধ্যে করদানের সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজতর করা।

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button