কর্মসংস্থান

পিএসসির অধীনে ১৮২৫টি নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) একাধিক নন-ক্যাডার পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে ৮২টি ক্যাটাগরিতে মোট এক হাজার ৮২৫টি পদে সরাসরি নিয়োগ দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, যোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পিএসসির ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

এই নিয়োগে উচ্চতর বেতন স্কেলসহ নবম, দশম ও ১২তম গ্রেডের পদ রয়েছে। বিজ্ঞাপিত পদগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো শিক্ষা কর্মকর্তা, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর, মেডিকেল অফিসার, ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার, সহকারী প্রকৌশলী, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা, রিসার্চ অফিসার, বিদ্যুৎ পরিদর্শক, সহকারী রেজিস্ট্রার, ডেন্টাল সার্জন, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ইত্যাদি।

নিয়োগের বিস্তারিত তথ্য

পিএসসির এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জন্য মোট ৮২টি ক্যাটাগরিতে এক হাজার ৮২৫টি পদে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগে যোগদান করবেন। নিয়োগের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে।

আবেদনের যোগ্যতা

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত পদগুলোর জন্য প্রার্থীদের নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়সসীমা এবং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। প্রার্থীদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট পদে নিয়োগের জন্য প্রযোজ্য সকল শর্ত পূরণ করতে হবে। আবেদনকারীদের অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ করে নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে।

নিয়োগ প্রক্রিয়া

পিএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়া সাধারণত লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা এবং চূড়ান্ত নির্বাচনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং তাদেরকে সংশ্লিষ্ট পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।

নিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ তারিখ

আবেদন প্রক্রিয়া শুরু: ১৩ ফেব্রুয়ারি
আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ: নির্ধারিত তারিখ (বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত)
লিখিত পরীক্ষার তারিখ: পরবর্তী বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হবে
মৌখিক পরীক্ষার তারিখ: লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর

নিয়োগের জন্য প্রস্তুতি

পিএসসির নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রার্থীদের ভালো প্রস্তুতি নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত সিলেবাস অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রার্থীদের বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান এবং বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নের ওপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এছাড়াও, প্রার্থীদের সময় ব্যবস্থাপনা এবং পরীক্ষার কৌশল সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

নিয়োগের সুযোগ ও সম্ভাবনা

পিএসসির এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি বড় সুযোগ তৈরি করেছে। সরকারি চাকরির নানাবিধ সুবিধা এবং স্থায়িত্বের কারণে এই নিয়োগে অংশগ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে প্রার্থীরা সরকারি চাকরির মাধ্যমে তাদের ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ পাবেন।

প্রার্থীদের জন্য পরামর্শ

পিএসসির নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রার্থীদের কিছু বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। প্রথমত, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি ভালোভাবে পড়ে বোঝা এবং আবেদনের যোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া। দ্বিতীয়ত, পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া এবং নিয়মিত অনুশীলন করা। তৃতীয়ত, সময় ব্যবস্থাপনা এবং পরীক্ষার কৌশল সম্পর্কে সচেতন থাকা।

নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

আবেদনকারীদের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট প্রস্তুত রাখতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। আবেদনকারীদের অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ করার সময় এই ডকুমেন্টগুলো আপলোড করতে হবে।

নিয়োগের জন্য অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া

পিএসসির নিয়োগের জন্য অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আবেদনকারীদের পিএসসির ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করতে হবে। আবেদন ফর্ম পূরণ করার পর আবেদন ফি জমা দিতে হবে। আবেদন ফি জমা দেওয়ার পর আবেদনকারীরা তাদের আবেদনের স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।

নিয়োগের জন্য যোগাযোগ

নিয়োগ সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য বা সহায়তার জন্য আবেদনকারীরা পিএসসির ওয়েবসাইটে দেওয়া যোগাযোগের তথ্য ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় তথ্য জানা যাবে।

নিয়োগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লিংক

আবেদন করতে ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পিএসসির ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন: পিএসসি ওয়েবসাইট

উপসংহার

পিএসসির এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি বড় সুযোগ তৈরি করেছে। সরকারি চাকরির নানাবিধ সুবিধা এবং স্থায়িত্বের কারণে এই নিয়োগে অংশগ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে প্রার্থীরা সরকারি চাকরির মাধ্যমে তাদের ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ পাবেন।

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button