কর্মসংস্থান

প্রাথমিকের ২১৬৯ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

Advertisement

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকের ২,১৬৯টি শূন্য পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বুধবার (৩১ আগস্ট) পিএসসি অফিস থেকে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীদের জন্য ১১তম গ্রেড এবং প্রশিক্ষণবিহীন প্রার্থীদের জন্য ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করা হয়েছে।

নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুসরণ করা হবে। দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে এই পদে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

আবেদনকারীদের যোগ্যতা

প্রার্থীদের যোগ্যতা অনুযায়ী, স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকা আবশ্যক। শিক্ষাজীবনে তৃতীয় শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না।

প্রার্থীদের বয়সসীমা ও অন্যান্য যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পিএসসি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

পরীক্ষা পদ্ধতি

নিয়োগের পরীক্ষা লিখিত ও মৌখিক পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষার মোট নম্বর ৯০। পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, দৈনন্দিন বিজ্ঞান ও সাধারণ জ্ঞান অন্তর্ভুক্ত থাকবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ১০।

লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন। প্রার্থীকে যোগ্য হতে হলে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নম্বর অর্জন করতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া ও সময়সীমা

প্রার্থীরা পিএসসি’র ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর এবং নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আবেদন করতে হবে। অনলাইন আবেদনপত্র পূরণ ও আবেদনের শর্তাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়সসীমা, নির্ধারিত ফি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রভাব ও প্রত্যাশা

শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নিয়োগ দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ঘাটতি থাকায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। এই পদে নিয়োগ নতুন শিক্ষকদের সুযোগ দেবে এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করবে।

অন্যদিকে, প্রার্থীরা উৎসাহী হলেও প্রতিযোগিতা কঠোর হবে। পিএসসি’র মাধ্যমে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং Merit-based হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঠিকভাবে দক্ষতা যাচাই হবে।

গত কয়েক বছরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের পদে নিয়োগ সীমিত ছিল। ফলে অনেক শিক্ষার্থী সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং পিএসসি যৌথ উদ্যোগে নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত এবং স্বচ্ছ করার চেষ্টা করছে।

পূর্ববর্তী নিয়োগের তুলনায় এবার শিক্ষার্থীদের জন্য পদ সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটির মাধ্যমে দেশের গ্রামীণ ও শহরের বিদ্যালয়ে শিক্ষকের ঘাটতি পূরণ হবে।

বিশ্লেষণ ও মন্তব্য

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে সহায়ক হবে। প্রার্থী নির্বাচনের সময় যোগ্যতা ও দক্ষতা বিবেচনা করার কারণে শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার মান আরও উন্নত হবে।

শিক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্রুত এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেশের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এছাড়া, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকের মানোন্নয়নের ফলে শিক্ষার্থীদের মৌলিক জ্ঞান ও সামগ্রিক শিক্ষার মান উন্নত হবে।

সংক্ষিপ্তসার

২,১৬৯টি পদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের এই বিজ্ঞপ্তি শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। শিক্ষাজীবনে আগ্রহী প্রার্থীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত মান বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ স্কুলে শিক্ষকের ঘাটতি পূরণের মাধ্যমে দেশের শিক্ষা খাতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

এম আর এম – ১১২১, Signalbd.com

মন্তব্য করুন
Advertisement

Related Articles

Back to top button