ডিবিএইচের ১০১ কোটি টাকা মুনাফা, ১৭% লভ্যাংশ ঘোষণা

দেশের শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে উল্লেখযোগ্য মুনাফা অর্জন করেছে এবং শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৭ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সাম্প্রতিক সভায় এই লভ্যাংশ সুপারিশ করা হয়, যার মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদ এবং ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ রয়েছে।
কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ডিবিএইচের কর পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১০০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, যা পূর্ববর্তী বছর ২০২৩ সালে ছিল ৯৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এই ধারাবাহিক মুনাফা বৃদ্ধি কোম্পানির শক্তিশালী আর্থিক ভিত্তি নির্দেশ করে।
মুনাফার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালের ৪ টাকা ৯৫ পয়সা থেকে বেড়ে ২০২৪ সালে ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৭ পয়সা। একই সময়ে, শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ২০২৩ সালের ৪৩ টাকা ৬৩ পয়সা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৪ সালে ৪৭ টাকা ২৫ পয়সায় উন্নীত হয়েছে।
ঘোষিত লভ্যাংশ এবং আর্থিক প্রতিবেদনের বিস্তারিত আগামী ১৯ জুন অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। কোম্পানিটির এই তথ্য মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে এবং একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমেও জানানো হয়েছে।
ডিবিএইচ ফাইন্যান্স ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আবাসন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। গত ২৮ বছরে প্রতিষ্ঠানটি দেশে প্রায় ৬০ হাজারেরও বেশি পরিবারকে গৃহঋণ প্রদান করেছে। বর্তমানে দেশের সব বিভাগীয় শহরসহ ১৬টি শাখার মাধ্যমে ডিবিএইচ হোম লোন, ইসলামিক হাউজিং ফাইন্যান্স, সাশ্রয়ী আবাসন লোন এবং ডিপোজিট সেবাসহ বিভিন্ন আর্থিক পণ্য সরবরাহ করছে।
কোম্পানির ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিও লক্ষণীয়। গত বছর প্রতিষ্ঠানটির গৃহঋণ বিতরণ ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কোর ডিপোজিট পোর্টফোলিও ১২ শতাংশ প্রসারিত হয়েছে। ডিবিএইচের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে ১ শতাংশেরও কম বজায় রেখেছে, যা তাদের শক্তিশালী ঋণ ব্যবস্থাপনা নীতির প্রতিফলন। প্রতিষ্ঠানটি বিগত ১৯ বছর ধরে সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং ‘ট্রিপল এ’ (AAA) অর্জন করে আসছে, যা তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং নির্ভরযোগ্যতাকে প্রমাণ করে।
ডিবিএইচের এই সাফল্য দেশের আর্থিক খাতে তাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে এবং আবাসন অর্থায়নে তাদের নেতৃত্ব বজায় রেখেছে। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ইতিবাচক বার্তা বহন করছে এবং কোম্পানির ভবিষ্যতের সম্ভাবনা সম্পর্কে আস্থা তৈরি করছে।