ঈদের আগে ঢাকায় গরুর মাংসের দাম ঊর্ধ্বমুখী: কেজিতে ৮৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানী ঢাকার কাঁচাবাজারগুলোতে গরুর মাংসের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৮৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।
বাজারে মাংসের দাম বৃদ্ধি
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংসের দাম কেজিপ্রতি ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যেমন, মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৮৫০ টাকা, শেওড়াপাড়া বাজারে ৮০০ টাকা এবং আগারগাঁওয়ের খোলাবাজারে ৬৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
খাসি ও মুরগির মাংসের দামও ঊর্ধ্বমুখী
গরুর মাংসের পাশাপাশি খাসি ও মুরগির মাংসের দামও বেড়েছে। খাসির মাংসের কেজি ১,১৫০ থেকে ১,২০০ টাকায় এবং ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দাম বৃদ্ধির কারণসমূহ
বিক্রেতাদের মতে, ঈদ উপলক্ষে মাংসের চাহিদা বৃদ্ধি, সরবরাহের সীমাবদ্ধতা এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে মাংসের দাম বেড়েছে। তবে, অনেক ক্রেতা মনে করেন যে কিছু বিক্রেতা অতিরিক্ত মুনাফার লক্ষ্যে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
সরকারি উদ্যোগ ও সুলভ মূল্যের বাজার
রমজান উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর ৪৮টি পয়েন্টে সুলভ মূল্যে গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে, এই মাংসে হাড়, চর্বি বেশি এবং কটু গন্ধ থাকার অভিযোগ করেছেন কিছু ক্রেতা।
ক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া
বাজারে মাংসের উচ্চমূল্য নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে। অনেকে বাধ্য হয়ে উচ্চ দামে মাংস কিনছেন, আবার কেউ কেউ বিকল্প হিসেবে মুরগি বা মাছের দিকে ঝুঁকছেন।
বাজার পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা
বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন, ঈদের পর মাংসের চাহিদা কমে গেলে দাম কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে। তবে, দীর্ঘমেয়াদে মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে উৎপাদন বৃদ্ধি, সরবরাহ চেইনের উন্নয়ন এবং বাজার মনিটরিং জোরদার করা প্রয়োজন।
ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ঢাকার মাংসের বাজারে যে মূল্যবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে, তা সাধারণ মানুষের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি উদ্যোগ ও বাজার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া জরুরি, যাতে সকল শ্রেণির মানুষ সাশ্রয়ী মূল্যে মাংস কিনতে পারেন এবং ঈদের আনন্দ সবার মধ্যে সমভাবে ভাগ করে নেওয়া সম্ভব হয়।