গ্রীষ্ম মৌসুমেই বাংলাদেশ থেকে চীনে আম রপ্তানি শুরু হতে পারে

বাংলাদেশ থেকে চীনে আম রপ্তানির সুযোগ তৈরি হয়েছে। আগামী গ্রীষ্ম মৌসুমেই দেশটিতে আম রপ্তানির দ্বার খুলতে পারে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নিবন্ধন প্রক্রিয়া
চীনে যেকোনো খাদ্যপণ্য রপ্তানি করার জন্য দেশটির জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে অব কাস্টম অব চায়না (জিএসিসি) থেকে নিবন্ধন নিতে হয়। গত বছরের জুলাইয়ে জিএসিসি বাংলাদেশ থেকে আম রপ্তানির নিবন্ধন দিয়েছে। তবে কাঁঠাল ও পেয়ারা রপ্তানির অনুমোদন এখনো দেয়নি।
অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি
চীনে কাঁঠাল ও পেয়ারা রপ্তানির জন্য নিবন্ধন নেওয়ার আলোচনা সম্প্রতি নতুন করে শুরু হয়েছে। এছাড়া, আলু, সয়ামিল এবং সুগন্ধি চালও রপ্তানির তালিকায় রয়েছে, তবে এগুলোর বিষয়ে খুব অগ্রগতি নেই।
দীর্ঘ অপেক্ষা
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চীনে আমসহ কিছু কৃষিপণ্য রপ্তানির অনুমোদন চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল ২০১৯ সালে। তবে চীন সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সময় নেয়। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে প্রক্রিয়া শেষ হতে ছয় বছরের বেশি সময় লেগেছে।
চীনের আগ্রহ
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ২০ মার্চ এক ব্রিফিংয়ে জানান, বাংলাদেশ থেকে আম, কাঁঠাল ও পেয়ারা আমদানি করবে চীন। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সম্প্রতি ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীদের মতামত
বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন মৃধা বলেন, “আমাদের আম-কাঁঠালের স্বাদ চীনাদের পছন্দের। আমরা আশা করছি আগামী মৌসুমে শুধু আম নয়, কাঁঠালও রপ্তানি করা যাবে চীনে। একবার রপ্তানি শুরু হলে বছর বছর এটা বাড়বে।”
চীনের পর্যবেক্ষণ
চীনের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আলুর উৎপাদনের খরচ বেশি পড়ায় দামও বেশি। সুগন্ধি চালের ব্যাপারে বাংলাদেশের নীতিগত সিদ্ধান্তকে দায়ী করা হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে চীনে আম রপ্তানির সুযোগ তৈরি হওয়ায় কৃষি খাতে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি কৃষি উৎপাদনও বাড়বে।