বানিজ্য

এক হাজার কোটি টাকা ব্যাংকঋণ নিলে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি বাধ্যতামূলক

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রস্তাব করেছে যে, ব্যাংক থেকে এক হাজার কোটি টাকা বা এর বেশি ঋণ নিলে কোম্পানিগুলোর জন্য শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি বাধ্যতামূলক হবে। বাংলাদেশ ব্যাংককে এ ব্যাপারে সব ব্যাংকে নির্দেশনা প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের অনুমোদন

শেয়ারবাজারে নতুন কোম্পানি আসার ক্ষেত্রে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদনের প্রাথমিক ক্ষমতা স্টক এক্সচেঞ্জের হাতে ন্যস্ত করার সুপারিশও করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের কাছে আইপিও সংক্রান্ত সুপারিশ জমা দিয়েছে একটি টাস্কফোর্স।

টাস্কফোর্সের সুপারিশ

টাস্কফোর্সের সুপারিশে বলা হয়েছে, স্থির মূল্য পদ্ধতিতে ৩০ কোটি টাকার কম মূলধনের কোনো কোম্পানিকে মূল বাজারে তালিকাভুক্ত না করা এবং বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৫০ কোটি টাকার কম মূলধনের কোনো কোম্পানিকে মূল বাজারে তালিকাভুক্ত না করার কথা বলা হয়েছে।

আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বাকি ৫০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত ৫০ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এবং বাকি ৪৫ শতাংশ দেশে বসবাসকারী বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে।

স্টক এক্সচেঞ্জের ভূমিকা

টাস্কফোর্স সুপারিশ করেছে যে, শেয়ারবাজারে আইপিওর মাধ্যমে কোন কোম্পানি বাজারে আসবে এবং কোন কোম্পানি অনুমোদন পাবে না, এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেবে স্টক এক্সচেঞ্জগুলো। স্টক এক্সচেঞ্জ যদি কোনো কোম্পানির আইপিও প্রস্তাব বাতিল করে দেয়, তাহলে বিএসইসি সেই কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দিতে পারবে না।

সময়সীমা নির্ধারণ

আইপিও আবেদনের পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য সময়সীমা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে টাস্কফোর্স। সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে আইপিওর আবেদন থেকে শুরু করে তালিকাভুক্তির পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে।

বিএসইসির এই উদ্যোগ দেশের পুঁজিবাজারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। এটি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি এবং বাজারের গভীরতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button