বানিজ্য

বাজেট বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা চায় সরকার, সচিবদের কড়া নির্দেশনা

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বজায় রাখতে সচিবদের নির্দেশ দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি তাঁদের বলেছি, বাজেট বাস্তবায়নে যেন জনগণের কল্যাণটা দেখেন এবং সময়মতো সবকিছু করা হয়।”

সচিবদের সঙ্গে আলোচনা

সচিবালয়ে আজ সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক্‌-বাজেট আলোচনা শেষে তিনি এ কথা বলেন। বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া ২৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের সঙ্গে এ আলোচনা হয়। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবরা।

বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের বাজেটটা যথাসম্ভব বাস্তবায়ন করতে হবে।” তবে সচিবেরা বাজেট বাস্তবায়নে সমস্যার কথা বললেও তিনি সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। তিনি বলেন, “আছে, অনেক কারণ আছে।”

অপচয় রোধের নির্দেশ

অর্থ উপদেষ্টা অপচয় রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সচিবদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে শুধু অবকাঠামো তৈরিতে মনোযোগী হওয়া চলতে দেওয়া যাবে না।

সংশোধিত বাজেটের সমস্যা

সচিবেরা প্রতিবছর সংশোধিত বাজেট প্রণয়ন করতে দেরির কথা বলেছেন, যা বাজেট বাস্তবায়নে সমস্যা সৃষ্টি করে। অর্থ উপদেষ্টা এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন।

অংশগ্রহণমূলক বাজেট

অর্থ উপদেষ্টা আগামী বাজেটকে অংশগ্রহণমূলক করতে পাঁচটি প্রাক্‌-বাজেট আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছেন। এর মধ্যে প্রথমটি ১৬ মার্চ অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে, এরপর প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক এবং ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে আলাদা আলোচনা হয়েছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

আগামী বাজেট হবে বাস্তবসম্মত এবং অহেতুক এর আকার বড় করা হবে না। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) স্থানীয় চাহিদাভিত্তিক প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

অর্থ উপদেষ্টার এই নির্দেশনা এবং আলোচনা দেশের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও বাজেট বাস্তবায়নে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। এটি সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button