টেসলার পর মাস্কের স্টারলিংকের ব্যবসায়ও ধাক্কা

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক আবারও বিপদে পড়েছেন। রাজনীতিতে নাম লেখানোর পর একের পর এক ঝামেলা লেগেই আছে তাঁর জীবনে। টেসলার শেয়ারের দাম কমছে, ফলে তাঁর সম্পদমূল্যও কমছে। পাশাপাশি, মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্সের অন্তর্ভুক্ত স্যাটেলাইট ইন্টারনেট কোম্পানি স্টারলিংকের ব্যবসাও মার খেতে শুরু করেছে।
স্টারলিংকের ব্যবসায়িক পরিস্থিতি
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে, কিন্তু মাস্কের কোম্পানির বৈশ্বিক সম্প্রসারণ ব্যাহত হচ্ছে। কানাডার একটি প্রদেশ সম্প্রতি কানাডীয় পণ্যের মার্কিন শুল্ক আরোপের প্রতিবাদে স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে। ইউরোপের নেতারা, যারা আগে ইউক্রেনে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ব্যবহারের পক্ষে ছিলেন, এখন মাস্কের মন্তব্যের কারণে বিকল্প খুঁজছেন।
রাজনীতির প্রভাব
মাস্কের রাজনৈতিক পরিচয় এবং তার মন্তব্যের কারণে স্টারলিংকের ব্যবসা বিভিন্ন দেশে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন আইনের বিরোধিতার কারণে সেখানে স্টারলিংকের অনুমোদন ঝুলে আছে। ব্রাজিল সরকারের সঙ্গেও বিবাদে জড়িয়েছেন তিনি।
রাজস্ব ও চুক্তি
স্টারলিংক বর্তমানে বিশ্বের ১১৮টি দেশে ৭ হাজার ছোট আকৃতির স্যাটেলাইট স্থাপন করেছে। কোম্পানির রাজস্ব আয়ের বড় একটি অংশ মার্কিন ফেডারেল সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তি থেকে আসে। বর্তমানে তাদের ৩৫০ কোটি ডলারের ৩৯টি চুক্তি রয়েছে।
ইউক্রেনের পরিস্থিতি
ইউক্রেনের যুদ্ধ চলাকালীন, মাস্কের মন্তব্যের কারণে দেশটি স্টারলিংকের সেবা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যদি মাস্ক ইউক্রেনের টার্মিনাল বন্ধ করে দেন, তাহলে তারা অন্য উৎস থেকে ইন্টারনেট নেবে।
মাস্কের ব্যবসায়িক পরিস্থিতি বর্তমানে চ্যালেঞ্জের মুখে। রাজনৈতিক কারণে স্টারলিংকের ব্যবসা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোম্পানির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। তবে, মাস্কের প্রতিশ্রুতি রয়েছে যে তিনি ব্যবসাকে রাজনৈতিক দর-কষাকষির হাতিয়ার হতে দেবেন না।