জামানত ছাড়াই পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন ছোট উদ্যোক্তারা

করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিন) নেই এমন ছোট উদ্যোক্তারা জামানত ছাড়াই পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। নতুন নীতিমালার আওতায়, তাঁরা অন্য ব্যবসা সংক্রান্ত সনদ দিয়ে এই ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। আজ সোমবার সিএমএসএমই খাতের নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে, যেখানে ‘অপ্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোক্তা’ নামের একটি নতুন শ্রেণি যুক্ত করা হয়েছে।
অপ্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোক্তার সংজ্ঞা
জাতীয় শিল্পনীতি–২০২২–এর আলোকে ‘অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্প খাতের উদ্যোক্তা’ হিসেবে বিবেচিত হবে সেই উদ্যোক্তারা, যাদের ইউনিক বিজনেস আইডেনটিফিকেশন (ইউবিআইডি), ডিজিটাল বিজনেস আইডেনটিফিকেশন (ডিবিআইডি) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালার আলোকে পারসোনাল রিটেইল অ্যাকাউন্ট (পিআরএ) রয়েছে। শ্রমনির্ভর অতিক্ষুদ্র বা ভাসমান উদ্যোক্তা বা সেবাপ্রদানকারীরা এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হবেন।
ঋণের শর্তাবলী
উৎপাদন, সেবা ও ব্যবসা—এই তিন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের উদ্যোক্তারা, যাদের জনবল পারিবারিক সদস্যসহ ১০ জনের বেশি নয়, তাঁরা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। এই শ্রেণির উদ্যোক্তাদের টার্নওভারের জন্য কোনো শর্ত রাখা হয়নি। তবে তাঁদের জমি ও কারখানা ভবন ব্যতীত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের স্থায়ী সম্পদের মূল্য পাঁচ লাখ টাকার কম হতে হবে।
ঋণের পরিমাণ
নতুন নীতিমালার আওতায়, মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তারা সর্বোচ্চ ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। ১২১ থেকে ৩০০ কর্মী আছে এমন তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান অথবা এক হাজার কর্মী আছে এমন শ্রমঘন শিল্পে এই ঋণ দেওয়া হবে। সেবা খাতে মাঝারি শিল্পের জন্য সর্বোচ্চ ৭৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে, যেখানে কর্মীর সংখ্যা ৫১ থেকে ১২০।
মাইক্রো শিল্পে সর্বোচ্চ দুই কোটি টাকা ও ক্ষুদ্র শিল্পে ২৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে। মাঝারি শিল্পের ট্রেডিং খাতে ১০ কোটি টাকা এবং ক্ষুদ্র শিল্পের ট্রেডিং ও সেবা খাতে সর্বোচ্চ আট কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে। অন্যদিকে, মাইক্রো শিল্পের ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হবে। কুটিরশিল্পে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হবে।
নীতিমালার কার্যকারিতা
২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পাঁচ বছরের জন্য সিএমএসএমই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছিল। সেই নীতিমালার মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের জন্য এই নীতিমালা কার্যকর থাকবে।