বাজার অস্থিতিশীলের চেষ্টা হলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি

ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর পণ্যের দাম ও বাজার অস্থিতিশীলের চেষ্টা হলে জরিমানাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। শনিবার ঢাকার বিভিন্ন বাজারে অভিযান চলাকালে এ কথা জানানো হয়।
বাজার পরিস্থিতি
প্রতিবছর রমজান মাস আসলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। তবে, এবারের রমজানে বাজার পরিস্থিতি এখনো স্থিতিশীল রয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকায়, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকায় এবং লেবুর হালি ৪০ টাকায়। তেলের সরবরাহ সংকটও কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
এক বিক্রেতা বলেন, “সবকিছু মিলিয়ে সব পণ্যের দাম স্বাভাবিক আছে। আয়ত্তের মধ্যে আছে। একটি তরমুজের দাম ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।”
অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন যে, রমজান মাসকে পুঁজি করে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিমভাবে পণ্যের দাম বাড়িয়ে ফেলে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
অভিযান ও জরিমানা
শনিবার সকালে ঢাকার বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় পণ্যের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য ৪টি দোকানকে মোট ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, “সকল পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। তেল নিয়ে যে সংকট ছিল, সেটিও এখন সমাধান হয়েছে। প্রত্যেক দোকানেই এখন বোতলজাত সয়াবিন পাওয়া যাচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীরা যদি অনৈতিকতা চর্চা করেন বা আইন ভায়োলেট করেন, সেক্ষেত্রে তাদের জরিমানা করতে হয়।”
রমজান মাসকে সামনে রেখে প্রথম রোজা থেকে শুরু করে ২৮ রোজা পর্যন্ত বাজারে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তরের।
ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের এই উদ্যোগ বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করবে। ক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।