বানিজ্য

সোনার দাম ভরিতে কমেছে ১,০৩৮ টাকা

দেশের বাজারে আবারও সোনার দাম কমেছে। এ দফায় প্রতি ভরিতে দাম কমেছে ১ হাজার ৩৮ টাকা। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে। নতুন এ দাম আগামীকাল রবিবার থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে।

সোনার নতুন মূল্য তালিকা

নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২২ ক্যারেট মানের হলমার্ক করা সোনার দাম প্রতি ভরিতে ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৬২ টাকা হবে। ২১ ক্যারেটের সোনার দাম নির্ধারিত হয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের জন্য নির্ধারিত মূল্য ১ লাখ ২৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতিতে তৈরি সোনার নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৬৪০ টাকা।

এর আগে গত মঙ্গলবার সোনার দাম প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৫৫৭ টাকা বেড়ে ২২ ক্যারেটের জন্য ১ লাখ ৫১ হাজার ৯০০ টাকায় পৌঁছেছিল। তবে গত ২০ ফেব্রুয়ারি দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম ১ লাখ ৫৪ হাজার ৫২৫ টাকা হয়েছিল।

সোনার দাম পরিবর্তনের ধারা

সোনার দামের ওঠানামা বিশ্ববাজারের উপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক বাজারে দরপতনের কারণে দেশের বাজারেও সোনার দর কমেছে।

গত এক মাসে কয়েক দফায় সোনার দামে উত্থান-পতন লক্ষ্য করা গেছে। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে দাম ছিল তুলনামূলক কম, কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় বাজারেও দাম বেড়েছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দর কিছুটা কমে যাওয়ায় দেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের মূল্য ওঠানামা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নীতির কারণে সোনার বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।

ভবিষ্যতে সোনার দামের সম্ভাবনা

বিশ্ব বাজারের প্রবণতা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সোনার দাম আগামীতেও ওঠানামা করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মূল্যস্ফীতির হার, মার্কিন ডলারের বিনিময় হার এবং বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সোনার বাজারের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে।

সোনার বাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে—দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করলে সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। স্বল্পমেয়াদে দামের ওঠানামা থাকলেও দীর্ঘমেয়াদে স্বর্ণের বাজার সাধারণত স্থিতিশীল থাকে।

সোনার দাম পরিবর্তনে বাজারের প্রতিক্রিয়া

সোনার দাম কমার ফলে সাধারণ ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি পেলেও স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। বাজুসের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেশের বাজারে সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়, তবে বাজারের স্থিতিশীলতার জন্য আরও সুসংহত নীতিমালা প্রয়োজন।

দেশের গহনা ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দাম কমার ফলে বিক্রি কিছুটা বাড়তে পারে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারের উপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে দাম আরও পরিবর্তন হতে পারে।

শেষ কথা

সোনার দামের পরিবর্তন সবসময় বিনিয়োগকারী ও সাধারণ ক্রেতাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই যারা স্বর্ণ কিনতে চান, তাদের বিশ্ববাজার ও দেশের বাজারের পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। ভবিষ্যতে আরও কোনো পরিবর্তন হলে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির পক্ষ থেকে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button