বাংলাদেশ

বাংলাদেশের জনগণ ফিলিস্তিনের পাশে আছে: প্রধান উপদেষ্টা

Advertisement

ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এসওয়াই রমাদানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের স্থায়ী সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

রোববার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এসওয়াই রমাদানের সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষাৎকালে তিনি স্পষ্টভাবে জানান যে, বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ ফিলিস্তিনের পাশে রয়েছে এবং তাদের প্রতি সহমর্মিতা অব্যাহত রাখবে।

ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের সংহতি

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি বাংলাদেশের স্থায়ী সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ ফিলিস্তিনের পাশে আছে। আমাদের সরকারও তাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।”

ড. ইউনূস আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে আরও অনেক দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে এবং শেষ পর্যন্ত একটি কার্যকর দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান প্রতিষ্ঠিত হবে।

রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এসওয়াই রমাদান সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “গাজায় মানবিক সংকট ক্রমশ গভীর হচ্ছে। খাবার ও ওষুধের অভাব সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে শিশুদের।”

রাষ্ট্রদূত আরও জানান, বাংলাদেশ সরকার ফিলিস্তিনের জন্য বিশেষ সহায়ক হিসেবে কাজ করছে এবং বহু বাংলাদেশি সেখানে খাদ্য ও ওষুধ পাঠাচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশকে ফিলিস্তিনি পণ্য আমদানি বাড়ানোর আহ্বান জানান।

ফিলিস্তিন-বাংলাদেশ সম্পর্ক

বাংলাদেশের স্থাপত্য থেকে শুরু করে সামাজিক ও রাজনৈতিক পর্যায়ে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন দীর্ঘদিনের। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বিশ্বে অনেক দেশ ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানিয়েছে। ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ফোরামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ মানবিক সহায়তার মাধ্যমে গাজার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। খাদ্য, চিকিৎসা ও শিক্ষা সহায়তা প্রেরণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশে জনগণের প্রতিক্রিয়া

সাধারণ জনগণ ফিলিস্তিনের প্রতি গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করছে। সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় সংগঠনও ফিলিস্তিনের জন্য তহবিল সংগ্রহ এবং মানবিক সহায়তা পাঠাচ্ছে।

বিভিন্ন এনজিও ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ফিলিস্তিনের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করেছে। খাদ্য ও ওষুধ পাঠানোর মাধ্যমে বাংলাদেশ তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে।

আন্তর্জাতিক প্রভাব ও বিশ্লেষণ

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলাদেশের ফিলিস্তিন সমর্থন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশের ইমেজকে আরও শক্তিশালী করছে। ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানো একটি নীতি প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশ মানবিক ও ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক মহলে ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান টানাটানির মধ্যে রয়েছে, এবং বাংলাদেশকে একটি মানবিক ও নৈতিক সমর্থক হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

ভবিষ্যতের আশা ও প্রস্তাবনা

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের এই সমর্থন ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আশা প্রকাশ করেছেন যে, ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।

রাষ্ট্রদূত রমাদানও বাংলাদেশের সাথে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিশেষভাবে ফিলিস্তিনি পণ্য আমদানি বাড়ানোর মাধ্যমে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কও আরও দৃঢ় হবে।


সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রদূতের আলোচনার মূল বার্তা স্পষ্ট: বাংলাদেশ এবং তার জনগণ ফিলিস্তিনের পাশে রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অন্যান্য দেশও এ ধরনের মানবিক ও নৈতিক সমর্থন দেখাবে, এমন আশায় বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে।

এম আর এম – ০৯১১, Signalbd.com

মন্তব্য করুন
Advertisement

Related Articles

Back to top button