
এশিয়া কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশ ভালো শুরু পেয়েও বড় সংগ্রহ করতে পারেনি। ওপেনার তামিম ইকবালের ২৮ বলে ৫ চারে ও ৩ ছক্কায় সাজানো ফিফটির সাহায্যে বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে ১৫৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে। তবে মধ্য ও শেষ ওভারে রশিদ খান ও নূর আহমেদের স্পিনে ব্যাটিংয়ে আক্রমণ কমায়।
ম্যাচের শুরু ও পাওয়ারপ্লে
আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ইনিংস শুরু হয়। ওপেনার তামিম ইকবাল এবং সাইফ হাসান পাওয়ারপ্লেতে ৫৯ রানের জুটি গড়েন। সাইফ ২৮ বলে ৩০ রান করে রশিদ খানের শিকার হন। এই জুটির মাধ্যমে আশা দেখা দিয়েছিল যে, বাংলাদেশ বড় সংগ্রহ করতে পারবে।
পাওয়ারপ্লের পর লিটন দাস এবং অধিনায়ক তানজিমের ব্যাটিংয়ে ধীরগতি দেখা যায়। ১০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৮৭ রানে। এরপর একের পর এক উইকেট হারানোর ফলে ব্যাটিংয়ের লড়াই কিছুটা থেমে যায়।
তামিমের ফিফটি ও মিডল ওভারের ধাক্কা
তানজিম তামিম ২৮ বলে ৫ চারে ও ৩ ছক্কায় দাপুটে ফিফটি করেন। তবে ১৩তম ওভারের পঞ্চম বলে লং অফে ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরেন। লিটন দাস ও অধিনায়ক তানজিমও বেশি দূর যেতে পারেননি। আফগান স্পিনারদের দাপটে বাংলাদেশের রান গতি কমে যায়।
রশিদ খানের একের পর এক বল মোকাবেলায় শামীম হোসেন পাটোয়ারিও ১১ রানের বেশি করতে পারেননি। শেষ ৪ ওভারে বাংলাদেশ ৩০ রান যোগ করতে পেরেছে। অপরাজিত ছিলেন জাকের আলী (১৩ বলে ১২ রান)। নুরুল হাসান সোহান ৬ বলে ১২ রান করেন।
একাদশে পরিবর্তন ও দলীয় কৌশল
বাংলাদেশ আজ একাদশে চার পরিবর্তন এনেছে। শেখ মেহেদীর জায়গায় খেলেছেন নাসুম আহমেদ। শরিফুল ইসলামের জায়গায় এসেছেন তাসকিন আহমেদ। ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন বাদ পড়েছেন এবং তার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন সাইফ হাসান। তানজিম হাসান সাকিবের বদলে অতিরিক্ত ব্যাটার হিসেবে নেওয়া হয়েছে নুরুল হাসান সোহানকে।
এই পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং এবং স্পিন মোকাবেলার সমন্বয় করতে চেয়েছে।
আফগানিস্তানের জন্য টার্গেট ও পরবর্তী পরিস্থিতি
বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে ১৫৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে জায়গা পেতে বাংলাদেশকে জয় পেতে হবে। জয় পেলেও আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কার ম্যাচের ফলাফলের দিকে নজর রাখতে হবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ১৫৫ রানের লক্ষ্য প্রতিরক্ষামূলক হলেও নির্ভর করছে আফগান ব্যাটিং ও বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের ওপর।
বিশেষজ্ঞ মতামত
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলাদেশের শুরু ভালো হলেও মিডল ওভারে উইকেট হারানো দলের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। তারা বলছেন, “তামিমের ফিফটি দারুণ হলেও, অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের রান না করার কারণে বড় সংগ্রহ হয়নি।”
অন্যদিকে, আফগানিস্তানের জন্য এটি manageable লক্ষ্য হলেও তাদের স্পিন আক্রমণের প্রতি সতর্ক থাকতে হবে।
বাংলাদেশের ইনিংস শুরু ভালো হলেও মিডল ও শেষ ওভারে ধীরগতির কারণে বড় সংগ্রহ হয়নি। তামিমের দাপট এবং সাইফ হাসানের সমর্থন ১৫৫ রানের টার্গেট দিতে সক্ষম করেছে। এখন উত্তেজনা থাকবে আফগানিস্তানের ইনিংস ও বাংলাদেশের বোলিং পারফরম্যান্স নিয়ে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ম্যাচের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে বাংলাদেশের সুপার ফোরে পৌঁছার সম্ভাবনা।
এম আর এম – ১৩৭৯,Signalbd.com