মেঘনা ইকোনমিক জোনে জাপানি কোম্পানি ডিআইসির ৬০ কোটি টাকার বিনিয়োগ

জাপানের শীর্ষস্থানীয় কালি ও রঞ্জক পণ্য উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ডিআইসি বাংলাদেশ মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে তাদের প্রথম কারখানার নির্মাণকাজ শুরু করেছে। কারখানা স্থাপনে প্রতিষ্ঠানটি ৬০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছে, যা দেশের শিল্পখাতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।
ডিআইসি বাংলাদেশের কারখানার নির্মাণকাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিআইসি বাংলাদেশের স্থানীয় প্রধান জসিম উদ্দিন, এক্সক্লুসিভ ক্যানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসির, প্রিমিয়াফ্লেক্স প্লাস্টিকসের বিজনেস ডিরেক্টর আনিসুর রহমান এবং নুরুল ফারুক হাসান অ্যান্ড কোম্পানির অংশীদার শামসুর রহমান।
ডিআইসির আন্তর্জাতিক অবস্থান
ডিআইসি তাদের কার্যক্রম শুরু করে ১৯০৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জাপানের টোকিওতে। কালি ও রঞ্জক পদার্থ উৎপাদনের ক্ষেত্রে এটি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে তারা বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০২১ সালে ডিআইসি বাংলাদেশে তাদের ব্যবসার সূচনা করে এবং এখন স্থানীয় বাজারে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করতে কাজ করছে।
ডিআইসি বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ এ কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হবে। কারখানায় আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে, যা দেশের কালি ও রঞ্জক পদার্থের বাজারে নতুন দিশা সৃষ্টি করবে।
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যেও বিনিয়োগ
ডিআইসির এই বিনিয়োগ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও ইতিবাচক বার্তা বহন করছে। এক্সক্লুসিভ ক্যানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসির বলেন, “দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যেও ডিআইসির বিনিয়োগ একটি সাহসী এবং গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে।”
বাংলাদেশের শিল্পখাতে ইতিবাচক প্রভাব
ডিআইসির বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তাদের কারখানা শুধু স্থানীয় চাহিদা পূরণই করবে না, বরং ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বাজারেও বাংলাদেশকে পরিচিত করতে সাহায্য করবে।
ডিআইসির এই উদ্যোগ দেশের শিল্পখাতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই কারখানাটি দেশে উন্নত মানের কালি ও রঞ্জক পণ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করবে এবং রপ্তানি বাজারেও বাংলাদেশের জন্য নতুন দরজা খুলবে।
বিনিয়োগের ইতিবাচক বার্তা
ডিআইসির কর্মকর্তারা বলছেন, এই বিনিয়োগ শুধুমাত্র একটি ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নয়; বরং এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রতি তাদের আস্থার প্রতিফলন। তারা আশা করছেন, কারখানার সফল কার্যক্রম দেশের অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উন্নয়নশীল শিল্পখাতের জন্য সম্ভাবনা
ডিআইসির বিনিয়োগ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি উদাহরণ সৃষ্টি করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিনিয়োগ দেশের স্থানীয় শিল্পখাতকে আরও বেশি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে সাহায্য করবে।