রাজনীতি

জামায়াতসহ ৮ দলের আল্টিমেটাম: যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি

Advertisement

নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও তীব্র হতে চলেছে। জামায়াতসহ ৮ দল রোববার (১৬ নভেম্বর) পর্যন্ত পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের আল্টিমেটাম দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সরকার দাবিগুলো মেনে নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, না হলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনার সামনে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করা হবে।

আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আগামী শুক্রবার সারাদেশে জেলা ও মহানগর পর্যায়ে পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ৮ দলের শীর্ষ নেতারা জানান, আগামী রোববার সকাল ১১টায় ৮ দলের নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠক শেষে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই সময়ের মধ্যে দাবিগুলো মেনে না নেওয়া হলে, সংবাদ সম্মেলনের পর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করবেন বলে আমরা আশা করছি। নেতারা ইতিমধ্যেই প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চেয়েছেন। এই সাক্ষাতেই রাজনৈতিক সংকট নিরসন হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিস্টদের দোসররা নাশকতার পায়তারা করছে। শাটডাউনের নামে ইতিমধ্যে বাসে আগুন ও ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে আমরা সরকারকে সহায়তা করতে প্রস্তুত।”

সংবাদ সম্মেলনে ৮ দলের নেতারা নাশকতা ও অপতৎপরতা প্রতিরোধে আগামীকালও রাজপথে অবস্থান রাখার ঘোষণা দেন। তারা মনে করাচ্ছেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও জনমতকে কাজে লাগিয়ে দাবিগুলো বাস্তবায়ন করানো সম্ভব।

পাঁচ দফা দাবি সংক্ষেপে:

১. নির্বাচনের আগে সার্বিক গণভোট গ্রহণ।
২. জুলাইয়ের জাতীয় সনদ কার্যকর করা।
৩. নির্বাচনী পরিবেশের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা।
৪. সরকারের সঙ্গে নিয়মিত সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান।
৫. রাজনৈতিক সহিংসতা ও নাশকতা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের দাবিতে তৎপর হচ্ছে। তারা আশা করছেন, শান্তিপূর্ণ ও জনমুখী আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার তাদের দাবি মানবে।

সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী, মূলত রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য মহানগরীতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলের সম্ভাবনা রয়েছে। নিরাপত্তা সংস্থা ও প্রশাসন প্রস্তুতি নিচ্ছে যাতে কোনো ধরনের অশান্তি সৃষ্টি না হয়।

মন্তব্য:

রাজনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষ উভয়েই এখন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি অনুভব করছেন। একদিকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে দাবির বাস্তবায়ন চাওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে নাশকতার খবরও পরিবেশকে অনিশ্চিত করছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমেই এই রাজনৈতিক সংকট সমাধান সম্ভব।

MAH – 13770 I Signalbd.com

মন্তব্য করুন
Advertisement

Related Articles

Back to top button