রাজনীতি

জামায়াতের আহ্বান: বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই গণভোটের তারিখ ঘোষণা করুন

Advertisement

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বৃহস্পতিবার রাজধানীর মগবাজারে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যে রাতের মধ্যেই গণভোটের তারিখ ঘোষণা করা হোক। তিনি বলেন, সময়ক্ষেপণ করলে দেশের মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আস্থা হারাবে এবং জাতীয় নির্বাচনের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনের বিবরণ

জামায়াতের এই নেতার সংবাদ সম্মেলন মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, এটিএম মাছুম ও কেন্দ্রীয় প্রচার ও গণমাধ্যম শাখার সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘বিএনপি গণভোট মেনে নেবে না। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে সময়ক্ষেপণ না করে আজই গণভোটের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। রাতের বেলায়ও আদেশ জারি করা সম্ভব।’

তিনি আরও বলেন, আদেশ জারি না করলে মানুষের আস্থা ক্ষুণ্ণ হবে এবং জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। জুলাই মাসে জাতীয় সনদ ও গণভোটের ওপর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে সুপারিশ দিয়েছে, তা আজ রাত অথবা আগামীকালের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে।

জামায়াতের অভিযোগ ও রাজনৈতিক অবস্থান

জামায়াত অভিযোগ করেছে, বিএনপি নির্বাচনের দিনে গণভোট চাচ্ছে যাতে সংরক্ষিত লাভের হিসাব অনুযায়ী নিজেদের সুবিধা নিশ্চিত করতে পারে। সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘সময়ক্ষেপণ করলে গণভোটের সময় শেষ হয়ে যাবে, যা হবে প্রতারণা। প্রতিটি দিন এবং ঘণ্টা গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হতে পারবে না। ঐকমত্য কমিশন সব দলের মধ্যে ৬০ শতাংশ বিষয়ে একমত হয়েছে। বারবার দাবি করা হচ্ছে, ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত। সেই নির্বাচনের আগে গণভোটের রায় বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।

পূর্বপ্রেক্ষাপট ও কমিশনের সুপারিশ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই মাসে সুপারিশ দেয়, যাতে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে সুষ্ঠু সমন্বয় করা যায়। কমিশন সব দলের মধ্যে একমত হওয়ার চেষ্টা করেছে এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জামায়াত মনে করছে, কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন না করলে নির্বাচন ও গণভোট উভয় প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তারা চান, সুপারিশ অনুযায়ী পদক্ষেপ ত্বরান্বিত হোক এবং জনগণের আস্থা বজায় থাকুক।

রাজনীতিকদের প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ প্রভাব

জামায়াতের আহ্বানের পর রাজনৈতিক মহল বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছে। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে গণভোটের তারিখ নির্ধারণ ও কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রশ্ন নতুন করে আলোচনায় এসেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আহ্বান নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর জনগণের আস্থা ও রাজনৈতিক দলের অবস্থানকে প্রভাবিত করবে।

সারসংক্ষেপ

জামায়াতের আহ্বান দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করছে। তারা দ্রুত গণভোটের তারিখ ঘোষণা করতে বলছে যাতে নির্বাচন ও গণভোটের প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও বৈধভাবে পরিচালিত হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপ এবং সুপারিশ বাস্তবায়নের সময়ই ভবিষ্যতে নির্বাচনের সফলতা নির্ধারণ করবে।

এম আর এম – ২০১৬,Signalbd.com

মন্তব্য করুন
Advertisement

Related Articles

Back to top button